Friday, July 5, 2024

Hydrotherapy: জল চিকিৎসা

এতদিন পর্যন্ত ধারণা ছিল যে শরীরে রোগবালাই দেখা দিলে তার চিকিৎসা হবে হয় অ্যালোপ্যাথি কিংবা হোমিওপ্যাথি অথবা আয়ুর্বেদ পদ্ধতিতে। আর শেষমেষ কোনো প্যাথিতেই রোগবালাই না সারলে রোগী ও চিকিৎসককে যার ওপর ভরসা করতে হয় তা হল সিমপ্যাথি। সত্যিই কি তাই? বোধহয় না। সম্প্রতি বিশ্ব চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা রোগবালাই মোকাবিলায় হাইড্রোপ্যাথি থুড়ি হাইড্রোথেরাপির কথা বলছেন।

হাইড্রোথেরাপি। হ্যাঁ, জল চিকিৎসা। সম্প্রতি চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা সুস্বাস্থ্যের জন্য জল- দাওয়াইয়ের কথা বলেছেন। সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে গেলে জলের যে কোনো বিকল্প নেই একথা সকলেই জানেন। আর সেইজনা তো জলের অপর নাম জীবন। কিন্তু রোগবালাই ঠেকাতে ও সারাতে যে জলের বড়সড় ভূমিকা আছে তা আজও অনেকের অজানা।

বিজ্ঞানীদের মতে মানুষকে বাঁচাতে ও শরীর- মনের জটিলতা থেকে মুক্ত করতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন এই জল-দাওয়াইয়ের ভূমিকা ব্যাপক।

হাইড্রো কথার অর্থ হল জল আর থেরাপি মানে চিকিৎসা। জলকে যেমন তরল অবস্থায় পাওয়া যায় তেমনই আবার কঠিন অবস্থায় জল জমে বরফ হয়ে যায়। আর জলকে ফোটানো হলে তা বাষ্পীভূত হয়ে যায়। আর জল-দাওয়াই তথা জল-চিকিৎসায় জলের কঠিন, তরল ও বায়বীয়-তিন অবস্থাকেই কাজে লাগানো হয়।

হাত-পায়ের নানা অংশে নানাভাবে চোট- আঘাত লাগতেই পারে। চোট-আঘাত পাওয়ার সাথে সাথে দেখা যায় আঘাত পাওয়া জায়গাটা লাল হয়ে ফুলে যায় এবং প্রচন্ড যন্ত্রণা হয়। কোনো কোনো সময় জায়গাটা নাড়াতে বেশ কষ্ট হয়। এ অবস্থায় আঘাত পাওয়া অংশে কোল্ড থেরাপি অর্থাৎ ঠান্ডা জল প্রয়োগ করা যেতে পারে। এসময় ঠান্ডা জল বারে বারে প্রয়োগ করা যেতে পারে অথবা একটা তোয়ালেকে ঠান্ডা জলে ভালোভাবে ভিজিয়ে নিয়ে আঘাত লাগা জায়গায় কমপ্রেস করা যেতে পারে। এতে রোগীরা অনেকটা আরাম পায়। এছাড়াও আর যা করা যায় তা হল আইস থেরাপি। যদি বরফ পাওয়া যায় তবে তাও আঘাত লাগা জায়গায় দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে বরফ গুঁড়ো করে তা আইস ব্যাগে ভরে বা তোয়ালেতে জড়িয়ে আঘাত লাগা জায়গায় বারে বারে প্রয়োগ করা যেতে পারে। এতে রোগীরা সাময়িকভাবে আরাম পায়। এরই আর এক নাম ক্রায়োথেরাপি। যা প্রথম চব্বিশ থেকে আটচল্লিশ ঘণ্টা প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে এর মধ্যে রোগীকে কাছাকাছি হাসপাতাল বা ডাক্তারের কাছে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হবে।

প্রসঙ্গত বলা ভালো ঠান্ডা জল বা বরফ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কয়েকটি নিষেধের কথা মাথায় রাখা প্রয়োজন। যেমন বাঁ-হাতে (সোল্ডার) বা কাঁধে যদি চোট- আঘাত লাগে তবে ঠান্ডা জল বা বরফ প্রয়োগ ঠিক নয়। কারণ এক্ষেত্রে সিমপ্যাথিটিক নার্ভ হৃদযন্ত্র ও হাতের সাথে একই সাথে যুক্ত রয়েছে। বরফ বা বরফ-ঠান্ডা জল প্রয়োগের ফলে অত্যধিক ইমপালস হৃদযন্ত্রে যেতে পারে যা কিনা কখনোই কাম্য নয়। আবার জটিল বাতজনিত রোগের উপসর্গ তথা রেনস ডিজিজের মতো রোগে আইস বা বরফ প্রয়োগ করা ঠিক নয়। কারণ এতে মাংসপেশিতে রক্ত চলাচল সাময়িকভাবে কমে যায় অর্থাৎ ভ্যাসোস্প্যাসম আরও বাড়তে পারে। অনেকের আবার অত্যধিক ঠান্ডা বা আইস থেরাপি প্রয়োগে চামড়ায় র‍্যাশ ও চুলকানি হতে পারে। এক্ষেত্রেও কোল্ড তথা আইস থেরাপি প্রয়োগ করা চলবে না। আর হার্টের মাংসপেশিতে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়া তথা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনের পরেও  অন্তত ছ’মাস আইস থেরাপি চলবে না।

আউটডোর ও বডি কনট্যাক্ট গেম তথা খেলাধুলোয় অতীতে চুন-হলুদের প্রলেপ, মালিশ বা ঠান্ডা-গরম জলের সেঁক ছিল চালু পদ্ধতি। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানের দ্রুত উন্নতির সাথে এসেছে স্পোর্টস সায়েন্স আর স্পোর্টস মেডিসিনের মতো শাখা। এক্ষেত্রে যেকোনো চোট-আঘাতে রাইস (RICE) কথাটার খুব চল হয়েছে।

RICE কথাটার পুরো মানে হল

R = Rest বা বিশ্রাম, I = Ice বা বরফ, C = Compression বা আঘাত পাওয়া অংশ জোরে চেপে বা বেঁধে রাখা, E = Elevation বা আঘাতপ্রাপ্ত অংশকে একটু উঁচুতে রাখা।

অর্থাৎ খেলোয়াড়দের চোট-আঘাতে বরফ অথবা বরফ না পেলে ঠান্ডা জল প্রয়োগ করে প্রাথমিক চিকিৎসা করা যেতে পারে।

তবে যদি দেখা যায় আঘাত পাওয়া জায়গায় চোট গুরুতর কিছু নয়, কোনো হাড় ভাঙেনি বা বিচ্যুত হয়নি, কেবলমাত্র পেশি বা নরম কোষে (সফট টিস্যু) আঘাত লেগেছে, তখন ব্যথা কমানোর জন্য বিশ্রাম, ওষুধপত্র ছাড়া গরম সেঁক দিতে বলা হয়। এক্ষেত্রে অনেক সময় জয়েন্ট-হিট বা গরম জলে গামছা ডুবিয়ে সেই ভাপ দেওয়ার প্রয়োজন হয়। হট ওয়াটার ব্যাগে গরম জল ভরে অথবা বড় তোয়ালে গরমজলে ভিজিয়ে এবং একটু নিংড়ে নিয়ে তা প্রয়োগ করা যেতে পারে আঘাত পাওয়া জায়গায় ।

হাতের কবজি ও আঙুলে চোট-আঘাত লাগলে এবং পায়ের পাতা ও আঙুলে চোট লাগলে আর সেই চোট যদি পেশি ও কোষকলার সামান্য আঘাতে হয়, তবে রোগীকে গরম জলের সেঁক করতে বলা হয় (ওয়ার্ম বাথ)। এক্ষেত্রে একটা বালতি বা বড় গামলায় অল্প উষ্ণ জলে আঘাত পাওয়া হাত বা পায়ের অংশটি ডুবিয়ে রাখা যেতে পারে, যতক্ষণ জল মোটামুটি গরম থাকে। এক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন যে এসব আঘাতের ক্ষেত্রেও প্রথম দু’একদিন কোনোরকম গরম দেওয়া বা কোনোরকম মালিশ বা দলাই মলাই অথবা অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে টানাটানি করা চলবে না। এক্ষেত্রে ওয়ার্ম বাথ চালানো যেতে পারে যতক্ষণ না ব্যথা পুরোপুরিভাবে সারে।

হাড় ভাঙায় প্লাস্টার করার পর এবং প্লাস্টার কাটার পর কনট্রাস্ট বাথ করতে বলা হয়। অর্থাৎ যুগপৎ ঠান্ডা ও গরম জলের সেঁক দিতে বলা হয়। আর সেই সঙ্গে আক্রান্ত অংশের আড়ষ্টতা কমানোর জন্য অবশ্যই বিজ্ঞানসম্মত ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কনট্রাস্ট বাথে একটা পাত্রে গরমজল ও একটা পাত্রে ঠান্ডা জল নেওয়া হয়। এরপর আক্রান্ত হাতের কবজি ও আঙুলগুলো অথবা আক্রান্ত পায়ের পাতা ও আঙুলগুলো একবার গরম জলে ও একবার ঠান্ডা জলে ডুবিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয় । এর ফলে রক্ত চলাচল সাময়িকভাবে বেড়ে যায় কারণ ওই অংশের রক্তবাহী নালিগুলো (অর্থাৎ আর্টারি, আর্টারিওল ও ক্যাপিলারি) প্রসারিত হয় ও রক্ত চলাচল বাড়ে, যাকে বলা যায় ভ্যাসোডায়ালেটেশন। আবার পরক্ষণেই ঠান্ডা জলে আড়ষ্ট অংশ ডোবালে রক্তবাহীনালিগুলোর সংকোচন হয় যাকে বলা হয় ভ্যাসোকনস্ট্রিকশন। এভাবে রক্তবাহী নালিকাগুলোর ক্রমান্বয়ে সংকোচন ও প্রসারণের ফলে আড়ষ্ট গ্রন্থির সচলতা ধীরে ধীরে বাড়ে। আর সংলগ্ন পেশিগুলোর জোরও বাড়তে থাকে।

সওনা ও স্টিমবাথে জলকে বাষ্পীভূত করে তার গরম ভাপকে সমস্ত শরীরে প্রয়োগ করা হয়, যার ফলে শরীর শিথিল হয় ও আরাম বোধ হতে থাকে। সারাদিনের পরিশ্রমের ধকল ও টেনশন মুক্ত হওয়ার এক আধুনিক উপায়ও যে এগুলো সে কথা বলা যেতেই পারে। তবে বয়স্ক লোকজন, যাদের উচ্চরক্তচাপ ও হৃদযন্ত্রের গোলযোগ আছে তাদের সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।

সিস্ট বাথে একটা বড় পাত্রে বা গামলায় গরম জল নিয়ে তার বাষ্প বা ভাপটা শরীরে প্রয়োগ করা হয়। আমাদের শরীরের শিরদাঁড়ার শেষ হাড় তথা টেল বোন, যাকে আমরা কক্সিস বলে থাকি সেখানে একটা শারীরিক জটিলতা অনেকসময় হতে পারে যাকে বলা হয় কক্সি ডাইনিয়া। এজন্য রোগী শক্ত কাঠের চেয়ারে বসতে পারে না বা বসতে বেশ অসুবিধে হয় এবং রোগীকে গদিওয়ালা জায়গায় বসতে বলা হয়। আর সেই সঙ্গে বাড়িতে বসে সিস্ট বাথ বারেবারে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর ফলে রোগী বেশ আরাম পায়। তাই সিস্ট বাথ বলতে বোঝায় টেলবোন বা শিরদাঁড়ার শেষ হাড়ে আঘাত লেগে থাকলে সেখানে গরমজলের ভাপ দেওয়া।

গলায় সংক্রমণ বা ইনফেকশনের ক্ষেত্রেও ডাক্তারবাবুরা নুনসমেত গরমজলের গার্গেল করতে বলেন। এর মাধ্যমে সংক্রমণের প্রকোপ কমে আর গলা ব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।

নানা প্রদাহজনিত (ইনফ্লামেটরি ডিজিজ) কারণে যখন গ্রন্থি লাল হয়ে ফুলে যায় ও স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত অংশে বেশ গরমভাব অনুভূত হয় তখন কোল্ড থেরাপি তথা আইস থেরাপি বেশ আরামদায়ক হয় ।

জ্বর হলেও শরীরের তাপমাত্রা অত্যধিক বেড়ে গেলে ঠান্ডা জল প্রযোগ করে শরীরের তাপমাত্রা কমানোর প্রচেষ্টা চালানো হয়। শরীরের নানা পেশি, তত্ত্ব, অস্থি ও গ্রন্থির নানা জটিলতাতেও (মাসকুলোস্কেলিটাল ডিসঅর্ডার) ফিজিওথেরাপিস্টরা প্রায়শই রোগীকে লোকাল হিট প্রয়োগের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আক্রান্ত অংশে ব্যথার জায়গায় গরম সেঁক দিতে বলা হয়। এ সেঁক কাপড় গরম করেও হতে পারে বা হট-ওয়াটার ব্যাগের গরম সেঁকও হতে পারে। উদ্দেশ্য সেঁকের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে রক্ত চলাচল বাড়ানো, পেশি ও গ্রন্থির আড়ষ্টতা কমানো ও গ্রন্থির সচলতা বাড়ানো। তবে হট ওয়াটার ব্যাগের সেঁকে যে গরমভাব পাওয়া যায় তা শরীরের বেশি গভীরে যেতে পারে না। ফিজিওথেরাপির যন্ত্রপাতির মাধ্যমে যে সেঁক, যেমন আলট্রাসাউন্ড, ডায়াথার্মি প্রভৃতি দেওয়া হয় তা অনেক বেশি গভীরে প্রবেশ করে শারীরিক জটিলতা কমাতে সাহায্য করে। তাই হট ওয়াটার ব্যাগের গরম জলের সেঁক ঘরে বসে আরাম পাওয়ার একটা ভালো উপায় মাত্র।

জলপূর্ণ পাত্রে হাত ও পা পুরো ডুবিয়ে সিমুলেটর যন্ত্রের সাহায্যে পেশিকে উদ্দীপিত করা হয়। এই চিকিৎসায় জলকে একটা মাধ্যম হিসেবে নেওয়া হয়। হাত ও পায়ের ছোট ছোট মাংসপেশিগুলোর (ইনট্রিনসিক মাসল) আড়ষ্টতা দূর করার জন্য অনেক ক্ষেত্রে ফ্যারাডিক হ্যান্ড বাথ ও ফ্যারাডিক ফুটবাথ দেওয়া হয়। এখানেও মাসল স্টিমুলেটর যন্ত্রের সাহায্যে ফ্যারাডিক (পেশি উদ্দীপক যন্ত্র) স্টিমুলেশন দেওয়া হয়।

ডায়ারিয়া হলে শরীর থেকে দ্রুত জল বেরিয়ে যেতে থাকে। এসময় শরীরে জল ঢুকিয়ে চিকিৎসা করতে হয়। রোগীর খাবার মতো শারীরিক অবস্থা থাকলে নুন-চিনি সমেত জল বারে বারে খেতে বলা হয় যাতে শরীরে ওয়াটার -ও ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্স ঠিক থাকে। আর মুখ দিয়ে খাবার মতো অবস্থা না থাকলে রোগীকে স্যালাইন বা ইনট্রাভেনাস ডিপ (আই.ভি.ড্রিপ) দেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে। এসময় ইলেকট্রোলাইট সহযোগে জল শরীরে প্রবেশ করিয়ে রোগীকে সুস্থ করার চেষ্টা করা হয়। বেশি দেরি করলে কিডনি বিকল হয়ে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।

Hydrotherapy 02

হাইড্রোথেরাপি পুল। নানাধরনের শারীরিক জটিলতার চিকিৎসায় যথেষ্ট ফলপ্রদ। উন্নত দুনিয়ায় সর্বত্রই এ পুলের ব্যবস্থা আছে। এ পুলে পরিষ্কার জল রাখা হয়। জল সামান্য গরম হলে সব থেকে ভালো হয়। শরীরের যে অংশে শারীরিক জটিলতা দেখা দিয়েছে ও জোর কমে গেছে সেই অংশ জলে ডোবানো হয়। ডোবানো অবস্থায় ওই অংশকে নাড়াতে বলা হয়। এক্ষেত্রে জলের উষ্ণতা ও প্লবতা দুটোকেই কাজে লাগানো হয়। জলের উষ্ণতা থাকার ফলে আক্রান্ত অংশের রক্ত চলাচল বাড়ে। পেশি ও গ্রন্থির আড়ষ্টভাব কমে যায় এবং গ্রন্থি বেশ সাবলীলভাবে নাড়ানো যায়। আক্রান্ত অঙ্গ নাড়াতে প্লবতা কার্যকরী ভূমিকা নেয়। যখন কোনো আক্রান্ত অঙ্গ হাইড্রোথেরাপি পুলে ডোবানো হয় তখনই ওই অঙ্গে জলের একটা হাইড্রোস্ট্যাটিক প্রেসার কাজ করে। আর এই চাপ ওপর, নিচে, পাশে-সমস্ত দিকে কাজ করে। এখন শরীরের আক্রান্ত অংশ যখন জলে ডোবানো হয় তখন অভিকর্ষ বল তাকে নিচের দিকে টানে আর আক্রান্ত অঙ্গ ডোবানোর ফলে যে জল সরে গেল তা ওপরের দিকে চাপ দেয় যাকে বলা হয় আপথ্রাস্ট। এধরনের অভ্যাসে পেশির জোর বাড়ে। তবে উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের রোগে যারা ভুগছেন তারা এ ধরনের পুলে যাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।

স্পা-এর ক্ষেত্রে নানাভাবে জলধারা শরীরের ওপর পড়ে, শরীরকে ধুয়ে দেয়। এতে শরীরে যে সব প্রভাব পড়ে তাও বেশ উল্লেখের দাবি রাখে। এর প্রভাবে শরীর জলধারার স্পর্শ পায় (ট্যাকটাইল), শরীরে জলের চাপ পড়ে (প্রেসার) ও জলধারা শরীর দিয়ে গড়িয়ে যায় (কাইনেটিকর)। আর এ তিন অবস্থার সমবেত ফল যা শরীর পায় তা হল শরীর ও মনে এক সুখানুভূতি দেখা দেয়। যা শরীর ও মনকে চনমনে ও তরতাজা রাখে।

সবশেষে বলি, কোনো জায়গা পুড়ে বা জ্বলে গেলে সেই জায়গায় ঠান্ডা জল প্রয়োগ করে সেই জায়গার অতিরিক্ত তাপ বের করে দিলে শারীরিক ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমে আর দিনে প্রতিটি সুস্থ মানুষের অন্তত একবার স্নান করা উচিত। এতে দেহমন চনমনে থাকে ও ত্বক পরিষ্কার ও সংক্রমণমুক্ত থাকে। আর সুস্থ, সুন্দর, মজবুত শরীর রাখার জন্য নিয়ম করে বিশুদ্ধ পানীয় জল পান করতে হবে। এতে শরীরের দূষিত পদার্থ ইউরিনের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে গিয়ে শরীরকে নীরোগ রাখে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular