Monday, September 16, 2024
Homeত্বকের যত্নজানুন কেন খাবেন স্যালাড || Health Benefits of Salad

জানুন কেন খাবেন স্যালাড || Health Benefits of Salad

স্যালাডকে রোজকার খাদ্য অলিকায় জুড়ে নিন, দেখবেন দিন দিন সতেজ হয়ে উঠছেন। শুধু তাই, নয়, স্যালাড অনেক রোগকে প্রতিহত করে এবং আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে আঁশযুক্ত সব্জি, ডাল ও ফল হার্টকে সুরক্ষিত করে এবং বিভিন্ন খাদ্যের মধ্যে যে পুষ্টি থাকে তা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। প্রত্যেক মানুষেরই উচিত রোজ বেশী বেশী পরিমাণে কাঁচা সব্জি খাওয়া। বেশ কয়েক রকমের কাঁচা সব্জি মিশিয়ে স্যালাড তৈরী খান। সেই স্যালাডের মধ্যে যে সব্জিগুলি অবশ্যই থাকবে তা হল- গাজর, পেঁপে, কমলালেবু, অন্যান্য হলুদ, শাকসব্জি- কারণ এগুলি হল, ভিটামিন-এর ভেষজ, যা আমাদের পেট, ফুসফুস, মূত্রাশয়, খাদ্যনালী বা গলার ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে। এর মধ্যে গাজরের ভূমিকা অন্যতম, কারণ, যে কোনও ক্যান্সার সারাতে গাজর যথেষ্ট কার্যকরী বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।

যেকোন সবুজ উদ্ভিদের ক্লোরোফিলের উল্লেখযোগ্য কণাগুলি হল ক্লোরোফিল-এ, বি ক্যারোটিন ও জ্যান্থোফিল। এদের মধ্যে ক্যান্সারের প্রকোপ কমাতে ক্যারোটিন কণাই বিশেষ ভূমিকা নেয়। সহজলোভ্য খাদ্যের মধ্যে গাজরে, এই ক্যারোটিন সব থেকে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্যারোটিনের বিশেষ উপাদান আবার বিটা ক্যারোটিন।

বিজ্ঞানীরা গবেষণায় যে গাজরের ভিতরের বিটা ও আলফা ক্যারোটিন লিভার ক্যান্সার সমেত, যে কোন ক্যান্সার হবার পথকেই আটকাতে পারে। বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিটা ক্যারোটিন যুক্ত গাজর বেশি পরিমাণে অন্তত দিনে একটা করে খেলে তা ক্যান্সারের বিপক্ষে কাজ করবে। ক্যারোটিন ক্যান্সার কোষের ক্রোমোজোমের বিন্যাস ও ক্ষয়ক্ষতির বিরুদ্ধে এক বিশেষ ভূমিকা নেয় ৷ বিটা ক্যারোটিন হল এক বিশেষ ধরনের হাইড্রোকার্বন এবং প্রোভিটামিন-এ। এটি ক্যান্সার আক্রান্ত কোষের জারক বিধম্য হয়ে কাজ করে। ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষের ক্রোমোজোমের বিনষ্ট হবার প্রবণতা থেকেও এটি রক্ষা করতে সক্ষম। 

দীর্ঘদিন বিটা ক্যারোটিনের ব্যবহারে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে বিটা ক্যারোটিন ট্যাবলেট খাওয়ার থেকে শুদ্ধ তাজা গাজর খাওয়া বেশি উপকারী। স্যালাডে যে অন্য আরেকটি অবশ্যই থাকবে তা হল, পাকা টমেটো বা কাঁচা খেতে হবে। সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, পাকা টমেটো কাঁচা খেলে হৃদরোগের বিশেষ উপকার হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, টমেটোয় ভিটামিন-এ, ‘বি’, ছাড়াও লেবুর মতো ভিটামিন-সি আছে। এতে প্রোটিন, ফসফেট, পটাশ, চুন, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, সালফার, ক্লোরিন, লোহা, ক্যালসিয়াম, থিয়ামিন ও রিবোফ্লাভিন পাওয়া যায়। টমেটো খেলে, থিয়ামিনের জন্য নার্ভের উপকার, কোষ্টবদ্ধতা দৃঢ় হয়, দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন লাভ হয়। টমেটো রিকেট, স্কার্ভি, দুর্বলতা, অল্মরোগ, পুষ্টিহীনতা, সাধারণ স্বাস্থ্যের উন্নতি, চক্ষুরোগ, রক্তাল্পতা, স্থূলতা, দাঁতের রোগ, মাড়ির রোগ, চর্মরোগে বিশেষ উপকারী। প্রতিদিন পাকা টমেটো চিবিয়ে খেলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। মেদহীন নিরোগ শক্ত সমর্থ, শরীর রাখতে হলে ভিটামিন-সি অপরিহার্য। ভিটামিন-এ থাকায় রাতকানা রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, মুখে টমেটোর রস মাখলে, ত্বক ফর্সা হয় ও দাগ উঠে যায় ৷

এছাড়া, স্যালাডের মধ্যে ভিটামিন-সি যুক্ত কাঁচালঙ্কা, বাঁধাকপির পাতা, ইত্যাদি দেওয়া দরকার। ভিটামিন-সি পেট ও অন্ত্রের ক্যান্সার না হওয়ার প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। এছাড়া, তন্তু বা আঁশ যুক্ত খাবার হৃদরোগের প্রতিরোধে এবং পরিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে। প্রতিদিন কম করে ৪ ডিশ স্যালাড উচিত। এই স্যালাড ভিটামিন-এ যুক্ত দুই রকম সব্জি, ভিটামিন-সি যুক্ত দুই রকম সব্জি ও উচ্চ ক্যালসিয়াম যুক্ত এক রকম সব্জি যেন অবশ্যই থাকে। এক ডিশ স্যালাডে ২ গ্রাম আঁশযুক্ত ফল বা সব্জি অবশ্যই রাখবেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular