Home স্বাস্থ্য পরামর্শ কোলেস্টেরল কমলেও বিপদ|Signs & Symptoms Of High Cholesterol|2024

কোলেস্টেরল কমলেও বিপদ|Signs & Symptoms Of High Cholesterol|2024

আমাদের রক্তের মধ্যে চর্বির যেসব অসংখ্য কণা ভেসে বেড়ায় তাকে এক কথায় লিপিড বলে। কোনো কারণে রক্তে লিপিডের পরিমাণ যদি মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যায় তাকে হাইপার ‘লিপিডিমিয়া বা এককথায় ডিসলিপিডিমিয়া বলা হয়। রক্তে লিপিডের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে হার্ট যে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সে সম্বন্ধে আজকাল অনেকেরই ধারণা আছে। কিন্তু উল্টোদিকে রক্তে লিপিডের পরিমাণ কমে যাওয়ার পরও যদি অজ্ঞতাবশত কোলেস্টেরল কমার ওষুধ খেয়ে যাওয়া হয় তাতে শরীরের কী ক্ষতি হতে পারে সেটা হয়তো অনেকেরই জানা নেই ৷

যেহেতু রক্তে লিপিড অর্থাৎ কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, এল.ডি.এল ইত্যাদি কমে গেলে তেমন কোনো উপসর্গ বা শরীরে বিশেষ কোনো কষ্ট অনুভূত হয় না, তাই অনেকে হয়তো একবার ডাক্তার দেখানোর পর দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ খেয়েই চলেছেন, পুনরায় ডাক্তার দেখানো বা রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজনই বোধ করেননি। এইভাবে দীর্ঘদিন একটানা ওষুধ খাওয়ার ফলে কোন সময় যে লিপিড কমে গিয়ে স্বাভাবিকের অনেক নীচে নেমে গেছে সেটা তার গোচরেই নেই।

কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, এল.ডি.এল ইতাদি স্বাভাবিকের থেকে অনেক কম মাত্রায় পৌঁছে যাবার পরও যদি কোলেস্টেরল কমাবার ওষুধ খেয়েই যাওয়া হয় তার ফলে যেসব অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় তার মধ্যে সি.ভি.এ, ইন্ট্রা সেরিব্রাল হেমারেজ বা ব্রেন স্ট্রোক বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

  • ব্রেন স্ট্রোক: গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রক্তে লিপিডের পরিমাণ নেমে আসার পরও লিপিড লোয়ারিং জাতীয় ওষুধ খেয়ে যান দীর্ঘদিন ধরে তাদের ব্রেন স্ট্রোক হবার সম্ভাবনা অনেকগুণ বেড়ে যায় ৷
  • ব্রেস্ট ক্যানসার: ব্রেস্ট ক্যানসারের উল্লেখযোগ্য কারণ হাইপো লিপিডিমিয়া বিশেষত কোলেস্টেরল কমে যাওয়ার পরেও যারা – স্ট্যাটিন খেতেই থাকেন তাদের ব্রেস্ট ক্যানসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায় ।
  • সেপসিস: হাইপোলিপিডিমিয়ায় শরীরের প্রতিষেধক ক্ষমতা কমে যায়। তাই সামান্য কোনো সংক্রমণ থেকেও মারাত্মক সেপসিসে পরিণত হতে পারে।

এছাড়া হাইপো লিপিডিমিয়ার জন্য নিউরোট্রান্সমিশনে শিথিলতা দেখা যায়। যার ফলে মনঃসংযোগ ব্যাহত হয় এবং কারো কারো পার্শিয়াল লস অফ মেমরি হয় বলে অনেকের ধারণা। তবে লিপিড কমে গেলে দুর্বল লাগা বা মাথা ঘোরা বা চোখে অন্ধকার দেখা, বুক ধড়ফড় করা এগুলো সাধারণ উপসর্গ। অনেকেই এগুলো অনুভব করে থাকেন কখনো কখনো।

কোলেস্টেরল কমে গেলেও দীর্ঘদিন ধরে কোলেস্টেরল কমার ওষুধ খাওয়ার অন্য একটা কারণ — কোলেস্টেরল ভীতি’। কোলেস্টেরল বৃদ্ধি সম্বন্ধে অনেকেরই একটা ভ্রান্ত ধারণা থাকে যে শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল মানেই দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ না খেলে কমার কোনো উপায় নেই। তাই যখন জানা গেল কোলেস্টেরল বেড়েই গেছে তখন তো দীর্ঘদিন ওষুধ খেতেই হবে— এরকম একটা বদ্ধমূল ধারণা হয়েই গেছে। তাই খেতে যখন হবেই তখন বারে বারে ডাক্তারের কাছে যাওয়া বা মাঝে মাঝে রক্ত পরীক্ষা করার প্রয়োজন বোধ করেন না। কিন্তু কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতে মানুষের এত ভীত- সন্ত্রস্ত্র হওয়ার কোনো কারণ নেই। এবং কোলেস্টেরল বেড়েছে বলেই দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ খেয়েই যেতে হবে এ ধারণাও ঠিক নয়। কারণ এখন অনেক উন্নত মানের ওষুধ বেরিয়েছে যা ব্যবহারে অল্প দিনেই কোলেস্টেরল কমে যায়।

প্রথমত, রক্তে কোলেস্টেরলের সর্বাধিক পরিমাণ (১৫০-২০০ মিগ্রা) সম্বন্ধে হয়তো অনেকেই অবগত, কিন্তু কতটা হলে সতর্ক হওয়া এবং কতটা বৃদ্ধি পেলে ডাক্তারের পরামর্শ বা ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন সেটা ঠিকমতো না জেনেবুঝে সামান্য বৃদ্ধিতেই একটা প্যানিক তৈরি করে ফেলেন— আমার কোলেস্টেরল বেড়ে গেছে, তাই হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে গেল এটা ঠিক নয়। যদিও কোলেস্টেরলের রেঞ্জ ১৫০ – ২০০ মিগ্রা, কিন্তু ২০০ মিগ্রা পেরোনো মানেই ওষুধ চালু করতে হবে এ ধারণা ঠিক নয়। এমনকী ২৫০ মিগ্রা- তেও তো কোনো ওষুধ দেওয়াই হয় না। তখন লাইফস্টাইলের পরিবর্তন, প্রাতঃভ্রমণ (প্রতিদিন সকালে অন্তত দু’ কিলোমিটার জোরে হাঁটা বা জগিং করা। সকালে যদি সময়ের অভাব থাকে তবে সান্ধ্যভ্রমণও করা যেতে পারে), বড় মাছ, খাসির মাংস, ডিম কম খাওয়া, চর্বি জাতীয় জিনিস থেকে দূরে থাকা, মদ্যপান বন্ধ বা সীমিত রাখা, একটু ফ্রিহ্যান্ড ব্যায়াম করা— ইত্যাদি মেনে চললে এই অবস্থায় সাধারণভাবে ওষুধের কোনো প্রয়োজনই হয় না।

আমেরিকার একটি সমীক্ষা সংবাদপত্রে প্রকাশিত হবার পর পরই অনেকে হোটেল বুক করে প্রাণভরে খেয়েছেন— মন যা চায় । যেটা এতদিন ধরে তার কাছে নিষিদ্ধ ছিল। এ ব্যাপারেও কিছু মানুষ ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে আসছিলেন। “যেমন যার কোলেস্টেরল বেশি (৩০০ মিগ্রা কম) তাকে নিশ্চয়ই কেউ বলেননি যে কখনো ডিম, মাছ, মাংস ছোঁবেন না, কেউ বলেননি যে কোনো বিয়ে বাড়িতে গিয়ে দু’ টুকরো মাংস বা দু’-এক টুকরো বড় মাছ খেতে পারবেন না। এখানে যেটা বলা হয়ে থাকে যে নিয়মিত বড় মাছ, খাসির মাংস, ডিম খাবেন না। অন্যদিকে আপনার কোলেস্টেরল যত বেশি থাকুক না কেন আপনি নিয়মিত যথেচ্ছ খেয়ে যাবেন সেটাও কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

ব্যাঙ্কে নিয়মিত টাকা যদি জমানোই হয়, তোলার কোনো ব্যবস্থা না করা হয় তবে একদিন টাকার পরিমাণ বিরাট আকার ধারণ করে। তেমনি নিয়মিত চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে গেলে এবং কোনো শারীরিক পরিশ্রম না করলে অতিরিক্ত ফ্যাটের ফলে শরীরের অবাঞ্ছিত ওজন বৃদ্ধি পায় ব্যাঙ্কের গচ্ছিত টাকার মতোই। তাই অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার খেয়ে গেলেও যদি নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করে চর্বি গলানোর ব্যবস্থা করা যায় তবে শরীর সুস্থই থাকে ।

তবে মাঝবয়সী অর্থাৎ ৩৫-ঊর্ধ্ব মহিলাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে একটু বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কারণ এই সময় (মেনোপজের আগে `বা পরে) হরমোনাল ইমব্যালেন্সের জন্য সাধারণভাবে শরীরে চর্বির আধিক্য দেখা দেয় ৷ তার ওপর যদি নিয়মিত চর্বিজাতীয় খাবার বা অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া হয় তবে মেদের আধিক্য বৃদ্ধি পেতে থাকে। পরিণামে অল্প হাঁটলেই বুক ধড়ফড় করা; শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি প্রাথমিক উপসর্গ হিসাবে পরবর্তীকালে সামান্য পরিশ্রমে বুকে যন্ত্রণা, মাথা ঘোরা ও ঘাম হতে থাকলে দেরি না করে কার্ডিওলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন ।

Signs & Symptoms Of High Cholesterol

কখন চিকিৎসার প্রয়োজন

যদিও রক্তে কোলেস্টেরলের ঊর্ধ্বসীমা (< ২৫০ মিগ্রা), তবু ২৫০ মিগ্রা হলেও ওষুধ দেওয়া হয় না যদি না সাথে কোলেস্টেরলের অন্য কোনো কম্পোনেন্ট যেমন ট্রাইগ্লিসারাইড, এল.ডি.এল ইত্যাদি মাত্রাতিরিক্ত থাকে। কোলেস্টেরল যদি ৩০০ মিগ্রা বা তার বেশি থাকে তবে সাথে সাথে চিকিৎসা শুরু করা হয় শুধুমাত্র লাইফস্টাইলের পরিবর্তন বা খাদ্যাভ্যাসে নিয়ন্ত্রণের ওপর ভরসা না রেখে।

চিকিৎসা

রসুভাসস্টাটিন ভালো কাজ করে। রাত্রে শোবার সময় ১০ মিগ্রা ব্যবহার করা হয়। প্রয়োজনে ২০ মি. গ্রামের দেওয়া হয়। রসুভাসস্টাটিনের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে অনেক সময় এ্যাটোরভাসস্টাটিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এইচ.ডি.এল-এর ক্ষেত্রে আবার অন্য রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এইচ.ডি.এল কিন্তু শরীরে যত বেশি মাত্রায় থাকে ততই মঙ্গল। এইচ.ডি.এল গুড কোলেস্টেরল, তাই শরীরে বেশিমাত্রায় থাকলে হার্টকে সুরক্ষিত করে, সুস্থ রাখে। এইচ.ডি.এল রক্তে ৪০ মিগ্রার ওপরে থাকা বাঞ্ছনীয়। ৬০ মিগ্রা থাকলে খুবই ভালো। কিন্তু ৪০ মি.গ্রামের কম থাকলেই চিন্তার বিষয়। সবুজ শাকসবজি, টাটকা ফল পর্যাপ্ত পরিমাণে খেলে এইচ.ডি.এল বাড়ে। তবে দীর্ঘদিন ধরে খেতে হয়। অ্যালকোহলে এইচ.ডি.এল বাড়ে এটা গবেষণায় প্রমাণিত। কিন্তু অ্যালকোহলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য অ্যালকোহল ব্যবহারে উৎসাহিত করা উচিত নয়। এক্ষেত্রে লো ডোজ স্ট্যাটিন ভালো কাজ করে।

কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড এইচ.ডি.এল যেমন রক্তের মধ্যে মিশে থাকে, ভেসে বেড়ায়, ট্রাইগ্লিসারাইড কিন্তু ধমনীর দেওয়ালের গায়ে জমাট বেঁধে পলিমাটির মতো আটকে থাকে। ফলে ধমনীর রক্ত চলাচলের পথ সংকীর্ণ হয়। তাই হার্টের রক্ত সরবরাহে ঘাটতি দেখা যায় । যার ফলে হার্ট ইস্কিমিয়া বা রক্তাল্পতায় ভোগে। ট্রাইগ্লিসারাইড কমাবার ব্যবস্থা না করলে ইস্কিমিয়া থেকে হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত পৌঁছে দেয় এই ট্রাইগ্লিসারাইড। তাই ট্রাইগ্লিসারাইড বৃদ্ধিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রতিরোধ করা প্রয়োজন। 

শরীরচর্চা

দিনে অন্তত এক ঘণ্টা প্ৰাতঃভ্ৰমণ বা জগিং ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। তবে সকালে শুধুমাত্র গল্প করতে করতে হেঁটে গেলে কিন্তু ট্রাইমিসারাইড কমবে না। জগিংয়ের ফলে রক্তস্রোতে যে গতি বৃদ্ধি পায়, তাতে ধমনীর দেওয়ালের গায়ে জলের পাইপের মরচের মতো জমে থাকা স্তরের ওপর ধাক্কা দিয়ে প্রলেপকে ভেঙে দেয় প্রতিনিয়ত। ফলে পরিধি বেড়ে যায়। 

বড় মাছ, বিশেষ করে খাসির মাংস আর ডিমের কুসুম নিয়মিত খেয়ে গেলে ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়তেই থাকে। চর্বিজাতীয় খাবার (ঘি, ছানা, মাখন, পনির ইত্যাদি) খাওয়ার ওপর একটু সংযম রাখা অর্থাৎ নিয়মিত যাতে না খাওয়া হয় সেদিকে লক্ষ রাখা প্রয়োজন। কখনো কোনোদিন দু’ টুকরো রেড মিট বা একটা ডিম খেলে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। তবে নিয়ম করে এগুলো খাওয়া চলবে না। 

এল.ডি.এল : রক্তে দু’ ধরনের কোলেস্টেরল আছে—এক, ভালো কোলেস্টেরল যা হার্টকে আগলে রাখে সেটা এইচ.ডি.এল কোলেস্টেরল। আর দ্বিতীয়টা খারাপ কোলেস্টেরল বা এল.ডি.এল, স্বাভাবিক মাত্রা ১০০ মি. গ্রামের কম অর্থাৎ শরীরে যত কম মাত্রায় থাকে ততই মঙ্গল। বেশি থাকলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। চর্বি জাতীয় খাবার বর্জন বা প্রাতঃভ্রমণে বিশেষ তফাৎ ঘটে না। এল.ডি.এল বংশগত। বাবা বা মায়ের থাকলে সস্তানের এল.ডি.এল সাধারণত বেশি দেখা যায়।

কোলেস্টেরলের যত কম্পোনেন্ট আছে, তার মধ্যে রক্তের এল.ডি.এল বৃদ্ধি হার্টের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক। নির্দিষ্ট মেডিসিন ছাড়া কমানোর কোনো উপায় নেই।

কখন সাবধান হবেন

কোলেস্টেরল কমাবার ওষুধ অনেক দিন খাবার পর (সাধারণত তিনমাস পর রক্ত পরীক্ষা করে দেখা উচিত) যদি দেখা যায় কখনো খুব দুর্বল লাগা, মাথা ঘোরা, চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিচ্ছে তখনই রক্ত পরীক্ষা করে দেখা উচিত। যদি দেখা যায় স্বাভাবিকের থেকে অনেক কম তখনই ওষুধ বন্ধ করে দিতে হবে। ওষুধ না খেয়ে তিন চার মাস বাদে আর একবার রক্ত পরীক্ষা করে দেখতে হবে আবার বেড়ে গেল কি না। যদি দেখা যায় আবার কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেছে, তখন আবার ওষুধ শুরু করতে হবে। তিন থেকে চার মাস বাদে আবার পরীক্ষা করে দেখে তবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আবার ওষুধ চলবে কি না এবং ডোজই বা কী হবে। তবে দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা না করে একটানা ওষুধ খেয়ে যাওয়া কোনো মতেই চলবে না।

খাওয়া-দাওয়া

কোলেস্টেরল বেড়েছে বলে খাদ্য তালিকায় সব কিছু বর্জন করে একটা প্যানিক সৃষ্টি করার কোনো দরকার নেই। একটা ডিমও কোনোদিন আর খাওয়া যাবে না বা কখনো রেস্টুরেন্টে বসে একটুও মটন খেতে পারবেন না রকম নির্দেশ কখনো কেউ দিতে পারেন না। কোলেস্টেরল বা ট্রাইগ্লিসারাইড রক্তে তেমন বেশি থাকলে বিশেষ করে এল. ডি. এল. বেশি থাকলে ওষুধ খেতেই হবে, খাদ্য তালিকায় সবকিছু বর্জন করেও তেমন ফল পাওয়া যায় না। 

উপসংহার: 

রক্তে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড বিশেষ করে এল.ডি.এল. বেশি থাকলে প্রোটিন সহযোগে সুষম খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত হোন। শরীরের নিউট্রিশান মেনটেইন করুন। যার জন্য কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও কিছু পরিমাণ ফ্যাটেরও প্ররোজন। প্রয়োজন নিয়মিত ওষুধ ব্যবহার আর সব থেকে প্রয়োজনীয় মর্নিং ওয়াক —যার কোনো বিকল্প নেই। তিন থেকে ছ’ মাস অন্তর একবার লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা প্রয়োজন। সর্বোপরি যতটা সম্ভব টেনশন মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। এগুলো মেনে চললে স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেকটা কমে যাবে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version