Home ত্বকের যত্ন এবার যৌবন হবে দীর্ঘজীবী | Mental Health and Long Life | 2024

এবার যৌবন হবে দীর্ঘজীবী | Mental Health and Long Life | 2024

সময় নদীর ঢেউয়ের মতো। সে কারও জন্যে অপেক্ষা করে না। ক্যালেন্ডারের এক তারিখ আগামীকাল দুই তারিখ হবেই হবে। আজকের দিনে জন্ম নেওয়া শিশুর বয়স আগামীকাল দু’দিন হতে বাধ্য। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়তে থাকা বয়সকে ক্রোনোলজিক্যাল বয়স বলে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেহকোষের অন্দরমহলেও পরিবর্তনের জোয়ার আসে। আজকের শিশু তার শৈশব, যৌবন ও প্রৌঢ়ত্ব অতিক্রম করে বার্ধক্যে পা রাখে। বয়স বাড়ার সঙ্গে তার কুচকুচে কালো চুলে পাক ধরে মুখে বলিরেখা পড়ে। অঙ্গ নড়বড়ে হয়। হাতে লাঠি আসে। পৃথিবী কাঁপানো পদযুগল দু’পা ফেলতেই হাঁফিয়ে ওঠে। সুগার, প্রেসার, বাত- বেদনা তাকে চেপে ধরে। শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি এবং স্মৃতিশক্তি কমতে শুরু করে।

বাবা-মায়ের কাছ থেকে আধখানা করে মোট একটি কোষ দিয়ে জীবন শুরু হয়। জীবনভর সেই আদিকোষের লাগাতার বিভাজনেই জীবনযন্ত্র গড়গড়িয়ে চলতে থাকে। আশির কোঠায় পা রাখা কোনো মানুষের দেহে আশি বছরের পুরনো একটিও কোষের হদিশ মিলবে না। সে অর্থে আশি বছর বয়সের কোনো মানুষের প্রতিটি কোষই কিন্তু তরুণ। তাহলে বুড়ো তকমা কপালে জোটে কীভাবে? তবে বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য যে, প্রতিটি দেহকোষের মধ্যেও নিরন্তর পরিবর্তন চলে। সেই পরিবর্তনের ওপর জিনগত প্রভাবের থেকেও পরিবেশগত প্রভাব ও মিউটেশনের গুরুত্ব অনেক বেশি। সেই কারণে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের কোষের পরিবর্তন একই হারে হয় না। কারো কোষ অকালে বুড়িয়ে যায়। কাঁচা বয়সে কারও চুল সাদা হয়ে যায়, ফাঁকা হয়ে যায়। কারও চুল নব্বইয়েও কালো ও ঘন থাকে। বদ নেশা, বদ পথ্য ও বদ অভ্যাসের ফলেও বহু কোষ অকালে রোগগ্রস্ত হয়। দ্বাদশীকে দেখে দাদিমা মনে হয়। জীবন পথের জ্বালাযন্ত্রণার মোকাবিলা করে, জীবনখেকো বিষাক্ত বলের বাউন্স সামলে সব ব্যাটসম্যানের পক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকানো অবশ্যই সম্ভব নয়। তবে জীবনধারণের মানের রদবদল করে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৭০ রানে ব্যাট করতে থাকা বহু বুড়োকে দেখলে সতেরো বছর বয়সী বালিকারও প্রেমে পড়তে ইচ্ছে করবে। দেহকোষের আয়ু ও তার সুস্থতার নিরিখে বাইরে থেকে দেখা মানুষের বয়সকে তার বায়োলজিক্যাল বয়স বলে।

জীবনের মজা নেওয়ার ক্ষেত্রে ক্রোনোলজিক্যাল বয়সের থেকে বায়োলজিক্যাল বয়সের মূল্য অনেক বেশি। বুদ্ধিমান মানুষ বয়সকে স্রেফ একটা সংখ্যা মনে করে। বিজ্ঞানীরা ‘বুড়ো হওয়াকে অসুখ মনে করেন। সঠিক জীবনযাত্রা মানুষের বায়োলজিক্যাল বয়সের গতি থমকে দিতে পারে। বয়সকে শক্ত ফিতে দিয়ে বিশ-পঁচিশ বছর একই জায়গায় আটকে রাখতে পারে। বেশির ভাগ লোকের বায়োলজিক্যাল বয়স ও ক্রোনোলজিক্যাল বয়সের ব্যাপারে কোনো ধারণা নেই। অনেকে আবার এমনও মনে করেন যে, শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও কোষেরা সময়ের সাথে সাথে বোধহয় একই হারে বুড়ো হতে থাকে। তারা মনে করেন যার ক্রোনোলজিক্যাল বয়স যত, তার বায়োলজিক্যাল বয়সও ঠিক ততই। সেকথা সত্যি হলে সকলেই একই গতিতে বুড়ো হত। বাস্তবে কিন্তু তেমনটা হয় না। অনেককেই তার প্রকৃত বয়সের থেকে আট-দশ বছরের ছোট দেখায়। আবার অনেককেই তার প্রকৃত বয়সের থেকেও দশ-বারো বছরের বেশি বয়সি দেখায়।

বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন যে, বংশগত কারণের ওপর মাত্র কুড়ি শতাংশ বায়োলজিক্যাল বার্ধক্য নির্ভর করে। আশি শতাংশ কোষের বায়োলজিক্যাল বয়স বৃদ্ধি তার লাইফস্টাইল ও জীবন ধারণের পরিবেশের ওপর নির্ভর করে। সুতরাং বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে বয়সকে বেঁধে রাখার উপায় খুঁজে সত্তরে পা দিয়েও গুনগুনিয়ে গান গাইতে, লে-লাদাখ চষে বেড়াতে বা দিদিমার চোখে ধুলো দিয়ে শিং ভেঙে বকনাদের দলে ভিড়ে যেতে বাধা কোথায়! 

mental health and long life

সুন্দর মুখ

সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র। যৌবনের রস যতই শুকিয়ে যাক না কেন, একটা টাইট ত্বকের ব্রাইট ফেস আপনার সৌন্দর্যে আলাদা মাত্রা দেবেই। মুখের স্কিনটোন দেখে আপনি নিজেও খুশি হবেন। বয়সের বলিরেখাবিহীন টানটান, মোলায়েম ও উজ্জ্বল মুখের স্বপ্ন সকলেই দেখেন। কৌশল বাতলে দিচ্ছি। ট্রাই করুন। স্বপ্ন সত্যি হবে।

মুখ পরিষ্কারের জন্য পরিষ্কার ঠান্ডা জলই যথেষ্ট। পারলে মুখ মুছে নেওয়ার পর দু’ফোটা অলিভ অয়েল ত্বকে আঙুল ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে নেবেন।

নিজে ডাক্তার সেজে বা পরের কথায় কান দিয়ে ওমুক-সি, তমুক-সি জাতীয় বাজারি স্টেরয়েড যুক্ত মলম মেখে মুখের পরকাল ফর্সা করে দেবেন না যেন। ছাল উঠে সাময়িক ফর্সা দেখালেও পরে পস্তাতে হবে। আয়নায় নিজের এডিট করা ফেস্টুন দেখে হনুদের পাছার দৃশ্যই ফুটে উঠবে। মহিলাদের গোঁফ গজানোও বিচিত্র নয়।

জেনে রাখুন মেলানিনকে পোষ মানিয়ে প্রকৃত ফর্সা হওয়ার কোনো মলম আজও আবিষ্কৃত হয়নি। যেদিন হবে, সেদিন নিগ্রোরাও অস্ট্রেলিয়ান বনে যাবে। প্রশিক্ষিত কসমেটোলজিস্টের পরামর্শ মেনে রূপচর্চায় ত্বক ঝলমলে হবে। বয়স আট থেকে দশ বছর কমে যাবে। বাজারি মলম মেখে লাভলি হতে গিয়ে ত্বকের স্বাভাবিকতা হারিয়ে আগলি হওয়ার বিপদ বাড়াবেন কেন? হার্বাল নাম শুনে মাথা গুলিয়ে ফেলবেন না যেন। প্রকৃত চিকিৎসা জগতে যেখানে বিজ্ঞান ভিত্তিক আধুনিক চিকিৎসার এত কদর, সেখানে হালে পানি না পাওয়া অবৈজ্ঞানিক কম্বিনেশনযুক্ত বেশির ভাগ হার্বাল ওষুধ প্রসাধনী দুনিয়ায় কোটি টাকার ব্যবসা ফেঁদে বসে আছে। সুন্দর-সুন্দরী সাজার নেশায় তরুণ-তরুণী, তাদের বাবা-মা, ভাই-বোন এমনকী দাদু-দিদারাও ঝকঝকে কেতাদুরস্ত প্রেজেন্টেশনে মুগ্ধ হয়ে মুনাফালোভী কোম্পানিদের ফাঁদে পা দিচ্ছে। স্বাভাবিক সৌন্দর্যের পতন ঘটছে। মেকআপ উঠলেই ভূতের কঙ্কাল বেরিয়ে পড়ছে। দিনের মুখে মুগ্ধ হওয়া প্রেমিক রাতে মেকআপ উঠে যাওয়া মুখ দেখে মূৰ্চ্ছা যাচ্ছে।

মুখ উজ্জ্বল ও তরতাজা দেখানোর মতো কোনো মলম নেই, এমন কিন্তু নয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত মলম মুখমণ্ডলে বলিরেখা পড়তে দেয় না। আশিতেও কিন্তু আঠেরো না হলেও মুখের বয়স বিশ-পঁচিশ বছর কমিয়ে দেখাবে। আসলে ময়েশ্চারাইজার মুখমন্ডলের কোষের আর্দ্রতা বজায় রেখে মুখকে মোলায়েম ও মসৃণ করে। যদি মনে করেন আপনার মুখ দেখে সবাই ‘আহা’ বলুক, তবে এ. এইচ.এ অর্থাৎ আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড যুক্ত বরফ প্রুফ প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন। যদি চান মুখ দেখে লোকে বলুক ‘বাহ’ তবে ব্যবহার করুন বি.এইচ.এ অর্থাৎ বিটা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড যুক্ত প্রোডাক্ট। এরা ত্বকের মৃত কোষগুলো সহজে ঝরিয়ে দিয়ে টানটান ভাব বজায় রেখে মুখকে আরও সুন্দর করে তোলে। এছাড়াও ভিটামিন-ই যুক্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মলম বা প্যানথেনল তথা প্রো-ভিটামিন বি-৫ যুক্ত ময়েশ্চারাইজার মুখমন্ডলের সৌন্দর্য অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। দামি মলম কেনার আগে অবশ্যই একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের প্রেসক্রিপশন নিতে ভুলবেন না। বাজারি বা বিউটি পার্লারের খপ্পরে পড়ে মুখের ছালটাই তুলে ফেলবেন না যেন। প্রকৃত পদার্থযুক্ত ব্রান্ডেড ক্রিম সন্ধ্যা বা রাত্রে ব্যবহার করলে অবশ্যই কম বয়েসি দেখাবে। দামি মলম মানেই দুর্দান্ত নয়। মলমে মোক্ষম বস্তুটি বা বস্তুগুলো মোক্ষম মাত্রায় থাকা জরুরি। আলফা লাইপোইক অ্যাসিড ১%, ভিটামিন-সি ১০% ও হাইড্রক্সি অ্যাসিড ৮% ঘনত্বেই ত্বকের সুরক্ষা দিতে পারে।

মজার ব্যাপার এই যে, সূর্যিমামার তীব্র কিরণ তার ভাগ্না-ভাগ্নীদের ত্বকের বারোটা বাজাতে ওস্তাদ। রোদে বেরোনোর আগে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। মুখে সানস্ক্রিন লাগাবেন। ১৫- ৩০ এস.পি.এফ যুক্ত মলম বা লোশনই যথেষ্ট। মুখের ত্বকের ক্ষয়ক্ষতির পিছনে চড়া সূর্যালোকের ভূমিকাই ৮০%।

ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখতে হলে তাজা ফল ও সবুজ সবজিতে ভরসা রাখতে হবে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট, সুগার যুক্ত ফ্রায়েড ফাস্টফুড ফেসের ফেস্টুন বদলে দিতে পারে। প্রসেসড ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে অতিরিক্ত ফ্রি-র‍্যাডিক্যাল তৈরি করে। এই ফ্রি-র‍্যাডিক্যালেরা সম্পূর্ণ ফ্রিতেই আপনার ত্বকের কোলাজেন ও ইলাসটিন ভেঙেচুরে চামড়ার বাঁধন আলগা করে দেয়। চামড়া ঝুলে পড়ে। মুখ ঢাকতে রুমাল পাওয়া মুশকিল হয়।

অফুরন্ত যৌবন

বাঁচতে গেলে অর্থ চাই, বাড়ি চাই, গাড়ি চাই আবার প্ল্যানিংও চাই। পরিকল্পনা করে না হাঁটলে পথের শেষ হবে না। জীবনের একটা নির্দিষ্ট সময় পাথেয় সংগ্রহের জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। বাকি সময় কাজে লাগিয়ে সাধ্যের মধ্যেই স্বপ্ন পূরণ করলে জীবন অর্থবহ হতে বাধ্য। লোকে যতই ব্যাঙ্ক ব্যালান্স বানাক না কেন, লোকে যত বড় প্রাসাদই তৈরি করুক না কেন, লোকে যতই ভোগবস্তুতে জীবনতরি ভর্তি করুক না কেন, যৌবন হারালে ভোগবাসনা অতৃপ্ত থাকবে। নিজের শরীর-স্বাস্থ্যে নজর না দিয়ে, নাওয়া- খাওয়া ভুলে অর্থের পিছনে ছুটে মাথার চুল ঝরিয়ে দাঁত হারিয়ে, চাম ঝুলিয়ে, চোখ হারিয়ে ‘কী লাভ? দাঁত না থাকলে কচি পাঁঠার মাংস চিবোবেন কীভাবে? পিঠে স্পন্ডিলাইটিস বাধালে কার্লনের গদিতে কে শোবে? চোখ না থাকলে নিজের জীবন দিয়ে সাজানো সৌধ কে দেখবে? ক্ষমতা হারালে মোনালিসা-ক্লিওপেট্রার মতো সুন্দরীদের বাগানে আপনি নেহাতই জরদ্‌গব দর্শক ছাড়া আর কিছুই নয়। সময়ের সঙ্গে বয়স বাড়বে। বয়স বুড়ো হোক কিন্তু আপনার বুড়িয়ে গেলে চলবে না। জীবনের হাটে প্রতিটি পসরা যৌবন নামের দামি মুদ্রা খরচ করে কিনতে হবে। কাজেই যেন তেন প্রকারেন যৌবন ধরে রাখতেই হবে, কারণ যৌবনই জীবন। যৌবনহারা দিনগুলো স্রেফ বোবা-কালা-অথর্ব সেজে প্রহর গোনা ছাড়া কিছুই নয়।

যৌবনের গ্ল্যামার দাঁতের ওপর অনেকটাই নির্ভর করে। সাদা ধপধপে দাঁতের হুডখোলা হাসিতে পঞ্চাশে এসেও আপনাকে পঁয়ত্রিশ দেখাবে। বয়স কম করে দেখাতে হলে বা বুড়ো বয়সে বাছুরের দলে ভিড়তে গেলে কিংবা দিদিমাকে চকাস করে চুমু ঠুকতে গেলে দাঁতের যত্ন নিতেই হবে। কথায় কথায় লোকে দাঁত উপড়ে স্বস্তি খুঁজলেও দাঁতই একমাত্র অঙ্গ যা সারাজীবন আগলে রাখা যায়। দাঁত পোকায় খেলে, থুড়ি ক্ষয়ে গেলে তাতে মুকুট পরিয়ে সুরক্ষিত রাখা যায়। উপড়ে গেলে বসিয়ে দেওয়া যায়। নষ্ট হলে বাঁধানো যায়। ময়লা জমলে পরিষ্কার করা যায়। পাউডার দিয়ে পালিশ করে পান খাওয়া দাঁতও চকচকে করা যায়। প্লাস্টিক সার্জারি করে বাসি হাসিকেও বদলে দেওয়া যায়।

নিয়মিত এক্সারসাইজ ও ডায়েটিং করা সুঠাম শরীরেও আপনাকে দাদু দেখাবে যদি কালো চুলে পাক ধরে। পাকতে দেবেন না এমনটি যে হওয়ার নয়। তা বলে আপনাকে বুড়ো দেখাবে এটা মেনে নেওয়া কঠিন। সেলুনের সস্তা হেয়ার ডাই দিয়ে চুল রাঙাতে গিয়ে মাথার চামড়ায় রস ঝরাবেন না যেন। ব্রান্ডেড ও কেমিক্যালমুক্ত হার্বাল হেয়ার ডাই দিয়ে বাড়িতেই বুড়ো থেকে খুড়ো হতে পারেন। ভুলেও গিন্নিকে যুবতী বানাতে যাবেন না যেন !

সাদা চুলওয়ালি বিবির পাশে বুড়ো বরগুলোকেও স্মার্ট ও হ্যান্ডসাম দেখায়। বুড়ি হতে যাওয়া বিবিরাও হেয়ার স্টাইলে বদল এনে ছুঁড়ি সাজতে পারেন। কর্তার পকেট কেটে দামি হেয়ার ডাই দিয়ে কুচকুচে কালো চুল বানাতে ক্ষতি কি ! বয়স এমনিতেই একটা বিড়ম্বনা, তার ওপর মাথা ফাঁকা হলে একা একা কী করবেন ? হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করাতে পারেন। ক্যাশে টান পড়লে চাক চাক টাক মাথাকে কামিয়ে ফেলুন। দেখবেন ন্যাড়া মাথায় ফাড়া কেটে গেছে। আপনাকে যুবক দেখাচ্ছে। বিশ্বাস না হয় ট্রাই করে দেখুন, দু’একটা সিটি শুনতে পান কি না।

অবসর জীবনে শুয়ে বসে আয়েস করা- মানেই পরলোকের শেষ সিঁড়িতে পা রাখা। আরও কয়েকটা দিন সুস্থ ও সবলভাবে পরিবারের সঙ্গে কাটাতে চাইলে দৈহিক কসরত করতেই হবে। ইহলোকে চিরতরে থেকে যাওয়ার কোনো বিধান নেই। ‘পরপারে পা রাখতেই হবে। দুশ্চিন্তামুক্ত হয়ে পরলোকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হলে নিয়মিত প্রাণায়াম করা জরুরি। শরীর ও মন সুস্থ থাকলেই আপনাকে আক্ষরিক বয়সের থেকে ছোট দেখাবে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version