Home পারম্পরিক ঔষধি হঠাৎ করে দেখতে পাচ্ছেন না ? | Eye Problems Solution 2024

হঠাৎ করে দেখতে পাচ্ছেন না ? | Eye Problems Solution 2024

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় হয়তো আগের দিন রাত্রেও টিভিতে পছন্দের অনুষ্ঠান দেখেছেন, সকালে উঠে দেখলেন একটা চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না। এমনকী দুটো চোখও দৃষ্টিহীন হয়ে পড়তে পারে।

আমরা জানি ধীরে ধীরে হওয়া দৃষ্টিহীনতার অনেক কারণ আছে। যেমন চশমা সংক্রান্ত গোলযোগ, ছানি, ওপেন অ্যাঙ্গেল glaucoma, বার্ধক্যজনিত ম্যাকুলার অসুখ, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, রেটিনাইটিস পিগমেন্টোসা ইত্যাদি।

কিন্তু হঠাৎ অন্ধত্বের মূলে থাকে অনেক রোগের হাত। যেমন-

  • রেটিনাল ডিটাচমেন্ট অর্থাৎ রেটিনা ছিঁড়ে খুলে আসা।
  • চোখের শিরা যেমন সেন্ট্রাল রেটিনাল আর্টারি বন্ধ হয়ে যাওয়া।
  • সেন্ট্রাল রেটিনাল ভেনাস থ্রম্বোসিস, যাকে চলতি কথায় ‘চোখের স্ট্রোক’ বলা হয় এবং ব্রাঞ্চ রেটিনাল ভেনাস থ্রম্বোসিস।
  • রেটিনায় রক্তক্ষরণ এবং ভিট্রাস হেমারেজ। 
  • সেন্ট্রাল সেরাস কোরিওরেটিনোপ্যাথি বা সি.এস.সি.আর ।
  • অ্যান্টেরিয়র ইস্কিমিক অপটিক নিউরোপ্যাথি ।

এই অসুখগুলো সাধারণত এক চোখেই হয়। কিন্তু দুটো চোখেই অন্ধত্ব নেমে আসতে পারে যে সমস্ত কারণে-

  • ব্রেনের অক্সিপিটাল লোবের ইনফার্কশন। 
  • ডায়াবেটিক বা উচ্চ রক্তচাপজনিত রেটিনোপ্যাথি।
  • দু’চোখের ইউভিয়ায় (চোখের দেওয়ালের মধ্যস্তরে) সংক্রমণ।

আবার অসহ্য চোখ ব্যথা বা মাথা ব্যথার সঙ্গে যে সমস্ত রোগে মানুষ দৃষ্টিহীন হন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য—

  • অ্যাকিউট অ্যাঙ্গেল ক্লোজার glaucoma। 
  • এনডপথালমাইটিস।
  • চোখের নার্ভের প্রদাহ অর্থাৎ অপটিক নিউরাইটিস বা রেট্রোবালবার নিউরাইটিস অর্থাৎ চক্ষুগোলকের থেকে একটু পেছনে অপটিক নার্ভের প্রদাহ ।

রেটিনাকে ক্যামেরার ফিল্মের সঙ্গে তুলনা করা হয়। রেটিনার দশটি স্তর আছে। একদম বাইরের দিকের পিগমেন্ট এপিথিলিয়াম স্তর থেকে রেটিনাল ডিটাচমেন্টে বাকি ন’টি স্তর খুলে আসে। কেন হয়? রেটিনাতে ফুটো হয়ে বা রেটিনায় টান ধরে বা রেটিনার পেছনে কোনো টিউমার থেকে বা জল জমে। রেটিনায় ফুটো হয়ে যে ডিটাচমেন্ট হয় তাতে ফুটোর ভেতর দিয়ে জল ঢুকে গিয়ে বিপত্তি বাধে। ছেলেরাই বেশি আক্রান্ত হয় (চল্লিশ থেকে ষাট বছর)। শতকরা চল্লিশ ভাগ রোগীর মায়োপিয়া (মাইনাস পাওয়ার) থাকে। এছাড়া চোট-আঘাত লেগে, ছানি অপারেশনের পর বিশেষ করে যেখানে ইনট্রাঅকুলার লেন্স বসানো নেই অর্থাৎ অ্যাফাকিয়া, ল্যাটিস ডিজেনারেশন, পি.ভি. ডি. অর্থাৎ পস্টেরিয়র ভিট্রিয়াস ডিটাচমেন্ট ইত্যাদি সমস্যায়।

eye-problems-solution

উপসর্গ : রোগী চোখের সামনে কালো কালো বিন্দু দেখে, চোখে আলোর ঝলকানি অনুভব করে। বড় ধরনের ডিটাচমেন্ট হলে অন্ধত নেমে আসে হঠাৎ করে। মনে হয় যেন চোখের সামনে হঠাৎ করে মেঘের মতো কিছু নেমে এল। তাৎক্ষণিক অপারেশন করা জরুরি।

ট্রাকশনাল ডিটাচমেন্টের কারণ চোট- আঘাত, পি.ডি.আর অর্থাৎ প্রলিফারেটিভ ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, রেটিনোপ্যাথি অফ প্রিম্যাচুরিটি অর্থাৎ অপরিণত নবজাতকের রেটিনার সমস্যা। শল্য চিকিৎসায় কিছুটা ফল পাওয়া যায় ৷

একজুডেটিভ ডিটাচমেন্টের কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা প্রয়োজন।

  • উচ্চরক্তচাপ, ইস্কিমিক হার্ট, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের সমস্যা ইত্যাদি থাকলে ক্যারোটিড আর্টারি তথা সেন্ট্রাল রেটিনাল: আর্টারিতে রক্ত জমাট বেঁধে নেমে আসে হঠাৎ দৃষ্টিহীনতা। পুরুষরাই বেশি আক্রান্ত হয়। দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ থাকলে রেটিনা বাঁচে না। তাই যত শীঘ্র সম্ভব চিকিৎসায় কিছুটা ফল পাওয়া যায়। চোখের প্রেসার তাড়াতাড়ি কমাতে হবে ইন্ট্রাভেনাস ম্যানিটল ইঞ্জেকশন দিয়ে, সঙ্গে লাগে ভেসোডায়ালেটার ওষুধ, চোখে ম্যাসাজ ইত্যাদি। এর সঙ্গে অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট, স্টেরয়েড ইত্যাদিও দেওয়া হয়।
  • রেটিনার ভেইন বন্ধ হয়ে অন্ধত্বের শিকার হন সাধারণত ষাট থেকে সত্তর বছর বয়সীরা। এটা আবার কম বয়সেও হতে পারে । সি.আর.ডি.ও অর্থাৎ সেন্ট্রাল রেটিনাল ভেইন অঙ্কুশন অনেক ধরনের হতে পারে। যেমন নন- ইস্কিমিক, ইস্কিমিক, আবার ব্রাঞ্চ Retinal Vein Occlusion হতে পারে। ইস্কিমিক সি.আর.ভি.ও-তে নেমে আসে হঠাৎ অন্ধত্ব। চিকিৎসা হিসেবে আছে লেজার ( পি.আর.পি – প্যান রেটিনাল ফোটোকোয়াগুলেশন ), চোখের ভেতরে (ইন্টাভিট্রিয়াল) অ্যান্টি ভি.ই.জি.এফ বা স্টেরয়েড ইঞ্জেকশন ইত্যাদি। উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা হাইপার লিপিডিমিয়া থাকলে তার আরও চিকিৎসা প্রয়োজন। ধূমপানে বিরত – থাকতে হবে। পরবর্তীকালে জটিল রোগ থ্রম্বোটিক Glaucoma হবার আশঙ্কা থাকে।
  • রেটিনায় রক্তক্ষরণ এবং ভিট্রাস হেমারেজ হয় রেটিনার শিরা-উপশিরা ছিঁড়ে গিয়ে। রক্তপাত রেটিনার বিভিন্ন স্তরের মধ্যে হতে পারে অথবা চোখের ভেতরে জেলির মতো ভিট্রাসেও হতে পারে। চোট-আঘাত জনিত কারণ, রেটিনার ভেইনের প্রদাহ যেমন—ইলস ডিজিজ, উচ্চরক্তচাপ বা ডায়াবেটিস জনিত কারণে রেটিনোপ্যাথি, লিউকিমিয়া, পারপুরা হিমোফিলিয়া ইত্যাদি রোগে রক্তক্ষরণ হতে পারে। অনেক সময় কোনো কারণ ছাড়াই অন্ধত্ব নেমে আসে হঠাৎ করেই। প্রাথমিক চিকিৎসা বিশ্রাম, মাথার বালিশ উঁচু করে শোওয়ানো। রক্ত কমে এলে চোখের রেটিনা পরীক্ষা করে রক্তক্ষরণের কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা করা দরকার। এছাড়া শারীরিক কোনো অসুখ থাকলে তার চিকিৎসা দরকার। তিন মাসেও রক্ত না সরলে ভিট্রেক্টমি অপারেশন। আজকাল আগেভাগে এই অপারেশন করা হয়।

সেন্ট্রাল সেরাস কোরিওরেটিনোপ্যাথি : রেটিনার কেন্দ্রস্থলে আছে ম্যাকুলা। যেখানে আলোকরশ্মি কেন্দ্রীভূত হয়। এখানে কোণ কোষের ছড়াছড়ি, যা সুনির্দিষ্ট ভাবে দেখতে সাহায্য করে এবং বর্ণপরিচায়ক। এখানে নিউরোসেন্সরি রেটিনার ডিটাচমেন্ট হয়ে সি.এস.সি.আর রোগের উৎপত্তি ঘটে। আগে বলা হত সি.এস.আর। কুড়ি থেকে চল্লিশ বছর বয়সী ছেলেরা আক্রান্ত হয় বেশি। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, আবেগপ্রবণতা, সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ এবং স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এই রোগের উৎস। দৃষ্টি হঠাৎ করে ঝাপসা হয়ে যায়। দৃষ্টিহীনতার শিকার হয় রোগী। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিজে নিজেই সেরে যায়। রোগীকে আশ্বস্ত করা খুব প্রয়োজন। এক থেকে তিন মাসের মধ্যে দৃষ্টি না ফিরলে বা বারবার আক্রান্ত হলে লেজার চিকিৎসা করা হয়।

অ্যান্টিরিয়র ইস্কিমিক অপটিক নিউরোপ্যাথি: চোখের পেছন দিকের শিরার অ্যাথেরোস্কেরোসিস বা জায়ান্ট সেল আর্টারাইটিস থেকে হয়। ই.এস.আর এবং টেম্পোরাল আর্টারি বায়োপসি করে রোগ নির্ণয় করা হয়। দৃষ্টিশক্তি চলে যায় হঠাৎ করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে কর্টিকো স্টেরয়েড (প্রেডনিসোলোন) নিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়। ধীরে ধীরে কমানো হয় ওষুধের মাত্রা।

অসহ্য চোখ ব্যথার সঙ্গে হঠাৎ অন্ধত্ব যে সমস্ত রোগে হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- অ্যাকিউট অ্যাসেল ক্লোজার Glaucoma সাধারণত একচোখে হয়। অন্য চোখে হবারও আশঙ্কা থকে। বর্ষাকালে বেশি হয়। আধো অন্ধকার ঘরে বেশিক্ষণ থাকলে, মানসিক উৎকণ্ঠার কারণে অথবা চোখের মণি বড় করার কোনো ওষুধের ব্যবহারে এই রোগের সূচনা। এই সমস্ত রোগীর চোখ হয় অপেক্ষাকৃত ছোট, হাইপারমেট্রোপিয়া অর্থাৎ প্লাস পাওয়ারের চশমা থাকে। অক্ষিগোলকের সম্মুখ ভাগের প্রকোষ্ঠের সংকীর্ণতা থেকে এই রোগের উৎপত্তি। চোখের মণি কিছুটা বড় (ডিম্বাকৃতি) হলে চোখের সম্মুখভাগের তরল অর্থাৎ অ্যাকোয়াস হিউমারের নির্গমনের রাস্তা বন্ধ হয়। তার সঙ্গে থাকে প্রস্টাগ্রাভিনের কারসাজি। মাঝে মাঝে চোখ ব্যথা, লাল চোখ, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া, আলোর চারদিকে রামধনু রঙ দেখা ইত্যাদি উপসর্গ দিয়ে শুরু হয় রোগ।

অ্যাকিউট অ্যাটাকে অসহ্য চোখ ব্যথা, বমি, পেটব্যথা হয়। তার সঙ্গে চোখের পাতা ফুলে ওঠে। চোখ জবাফুলের মতো লাল হয়ে যায়। এবং অবশ্যই চোখের দৃষ্টি চলে যায়। চোখের প্রেসার অত্যধিক বেড়ে যায়, পাথরের মতো শক্ত হয় চোখ।

এই রোগের চিকিৎসা ইমার্জেন্সি হিসেবে করতে হবে। শল্য চিকিৎসা জরুরি কিন্তু তার আগে চোখের প্রেসার, ব্যথা, লাল ইত্যাদি কমাতে হবে ওষুধ দিয়ে। ইন্ট্রাভেনাস ম্যানিটল- অ্যাসিটাজোলামাইড ট্যাবলেট, ইঞ্জেকশন, ব্যথার জন্য অ্যানালজেসিক ইঞ্জেকশন, চোখের ড্রপ হিসেবে পাই লোকারপিন, বিটা ব্লকার, কর্টিকোস্টেরয়েড দেওয়া হয় ।

চোখের ব্যথা-বেদনার উপশম হলে, চোখের প্রেসার কমলে এবং দৃষ্টির কিছুটা উন্নতি হলে শল্য চিকিৎসা করতে হবে, সেই সঙ্গে অন্য চোখটিও পরীক্ষা করে দরকার মতো লেজার আইরিডোটমি করতে হবে পরবর্তী ধাপে।

এনডপথালমাইটিস : অক্ষিগোলকের ভেতরের ইউভিয়া, ভিটাস রেটিনা সহ সমস্ত টিসুর প্রদাহ, আঘাত লেগে বা চোখের কর্নিয়ায় ঘা থেকে ফুটো হয়ে, চোখে শল্যচিকিৎসার জটিলতার কারণে অথবা শারীরিক কোনো ইনফেকশন (দাঁত) থেকে এই রোগ হতে পারে। সেপটিমিয়া অথবা প্রসব পরবর্তী সেপসিস থেকেও হতে পারে । চোখের অপারেশনে (ছানি ইত্যাদি) ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, লিনেন, গজ, তুলো অথবা অপারেশনে ব্যবহৃত ওষুধ (ভিসকোইলাসটিক) রিঙ্গার ল্যাকটেট ইত্যাদি থেকে হতে পারে। অপারেশন থিয়েটার সহ এই সমস্ত জিনিস যা শল্যচিকিৎসায় ব্যবহ্যত হয় সবই সম্পূর্ণ রূপে জীবাণুশূন্য হওয়া প্রয়োজন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাক্টেরিয়া বা ফাঙ্গাস (ছত্রাক) সংক্রমণ হয়। অনেক সময় স্টেরাইল এনডপথালমাইটিস-ও দেখা যায়।

উপসর্গ : প্রচন্ড চোখ ব্যথা, চোখ লাল, আলোর দিকে তাকাতে কষ্ট, চোখের পাতা ফোলা, কর্নিয়া ধোঁয়াটে। চোখের পুরোটাই পুঁজে ভর্তি হয়ে যায়। নেমে আসে হঠাৎ অন্ধত্ব।

চিকিৎসা: যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। চোখের ভেতরে অ্যান্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন যেমন ভ্যানকোমাইসিন, অ্যামিকাসিন, জেন্টামাইসিন সঙ্গে স্টেরয়েড দেওয়া হয়। চোখে অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড ড্রপ, মলম ইত্যাদি দরকারমতো দেওয়া ও প্রয়োজনে ভিট্রেক্টমি করা হয়।

অপটিক নার্ভের প্রদাহ (অপটিক নিউরাইটিস, রেট্রোবালবার নিউরাইটিস) : ইডিওপ্যাথিক, হেরেডেটরি, ডিমাইলিনেটিং ডিজিজ, ভাইরাস (যেমন মিজলস্, মাম্পস, চিকেন পক্স) ইত্যাদি থেকে, আবার সিফিলিস বা এইডস থেকেও হতে পারে। এছাড়া আছে টক্সিক নিউরাইটিস। অপটিক নিউরাইটিস বা প্যাপিলাইটিস অর্থাৎ অপটিক নার্ভ হেডে প্রদাহ। আর রেট্রোবালবার নিউরাইটিস অর্থাৎ অক্ষিগোলকের একটু পেছনে অপটিক নার্ভের প্রদাহ। হঠাৎ অন্ধত্বের অন্যতম কারণ অপটিক নিউরাইটিস। রক্তের কিছু পরীক্ষা, ব্রেনের এম.আর.আই স্ক্যান করে মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস থাকলে চিকিৎসা হিসেবে ইন্ট্রাভেনাস মিথাইল প্রেডনিসোলোন, পরে প্রেডনিসোলোন ট্যাবলেট দেওয়া হয়। দুটো চোখ আক্রান্ত হলে বা কোনোভাবেই দৃষ্টি না ফিরলেও এই চিকিৎসা করা হয়।

বিষাক্ত চোলাই মদ খেয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা অনেকেই টক্সিক অ্যামব্রায়োপিয়া (অপটিক নার্ভের প্রদাহ) নামক রোগের শিকার হয়ে হঠাৎ দৃষ্টি হারান। কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেও এই অসুখটি হতে পারে যেমন টিবির ওষুধ ইথামবিউটল, ম্যালেরিয়ার ওষুধ কুইনিন, গর্ভনিরোধক ওষুধ ইত্যাদি।

সবশেষে বলি, হঠাৎ অন্ধত্ব নেমে এলে ভয় না পেয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তার দেখাতে হবে। মনে রাখতে হবে একটুও সময় যাতে নষ্ট না হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসায় ভালো ফল পাওয়া যায় তাই অযথা উৎকণ্ঠিত হবার কোনো কারণ নেই।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version