Home স্বাস্থ্য পরামর্শ থাইরয়েডের সমস্যা ? জেনে নিন সুস্থ থাকবেন কিভাবে | Thyroid – Symptoms,...

থাইরয়েডের সমস্যা ? জেনে নিন সুস্থ থাকবেন কিভাবে | Thyroid – Symptoms, Treatment & Diet

থাইরয়েড শরীরের একটি অতি প্রয়োজনীয় থ্রন্থি। যার অবস্থান স্বরযন্ত্রের ঠিক নীচে। আয়তনে ছোট এই গ্রহিটির কার্যক্ষমতা অনেকটাই। যা শরীরের সমস্ত কোষের সজীবতার উৎস। যার নিয়মিত, নির্দিষ্ট ক্ষরণ শরীর সতেজ এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

নালিবিহীন এই গ্রন্থি-নিঃসৃত রস মিশে যায় রক্তে। একেই বলে থাইরয়েড হরমোন। থাইরয়েড গ্রহিকে নালীবিহীন গ্রন্থি বা এন্ডোক্রিন গ্রন্থি বলে। শরীরে বিপাকক্রিয়া ও শরীরের উত্তাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই হরমোন। এছাড়া বৃদ্ধি ও বৃষ্টির জন্যে একান্ত আবশ্যক। এই হরমোন মাতৃগর্ভ থেকেই কাজ শুরু করে।

থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে অসুবিধা সৃষ্টি হতে পারে দু’ভাবে—প্রথমত, বেশি ক্ষরণ হলে দ্বিতীয়ত, কম ক্ষরণের জন্য। থাইরয়েড হরমোনের কার্যক্ষমতার প্রধান উৎস হল আয়োডিন। আর তার পরিমাণ কম হলেই বিপদ। গ্রন্থিটি হারায় স্বাভাবিক ক্ষরণ-ক্ষমতা। শরীরের অন্যান্য অংশও এর ফলে প্রভাবিত হয়ে থাকে। এই হরমোনের অভাবে মাতৃগর্ভে শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ যথাযথ হয় না। শিশু হতে পারে মূক ও বধির। অনেক ক্ষেত্রে জড়বুদ্ধিসম্পন্ন। স্নায়বিক অসুখ অথৰা প্যারালাইসিসও হতে পারে শিশুর। শিশুর আকার খাটো হয়। দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্য। হতে পারে অলস প্রকৃতির। তার স্বাভাবিক নড়াচড়ার ক্ষেত্রে একটু বেশি সময় নেয়।

যুবক-যুবতীদের মধ্যে এই হরমোনের অভাবে আসে অলসতা কমে যায় কর্মক্ষমতা ঋতুস্রাব অনিয়মিত হতে পারে। সন্তানধারণে অসুবিধা ঘটে। এমনকী সন্তন এলেও অকালে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে আবার মাত্রাতিরিক্ত ঋতুস্রাব হয়। মহিলারা চিকিৎসা-বিভ্রাটের শিকার হন মেনোপজের আগে মাত্রাতিরিক্ত ঋতুস্রাব জরায়ুতে টিউমারের সন্দেহ গাঢ় করে। তখন শল্য চিকিৎসায় বাদ পড়ে জরায়ু। প্রকৃতপক্ষে থাইরয়েড হরমোন এধরনের শারীরিক অব্যবস্থার জন্য দায়ী। বয়স বেশি হলে অর্থাৎ প্রৌঢ় ও বৃদ্ধরা স্রেফ এই হরমোনের প্রভাবেই অলস হয়ে যেতে পারেন। থাইরয়েড হরমোনের গোলযোগে দেখা দেয় নানা অসুখ। এই অসুখে আক্রান্ত হওয়ার নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই যে-কোনা বয়সের যে কেউ থাইরয়েডের গণ্ডগোলে আক্রান্ত হতে পারে। শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ–বৃদ্ধা নির্বিশেষে এই রোগ হতে পারে।

কেন হয় থাইরয়েডের সমস্যা? 

আয়োডিনের অভাব থাইরয়েডের গোলমালের একটা উল্লেখযোগ্য কারণ। একই পরিবারভুক্ত অনেকের গয়টার থাকলে বংশগতভাবে কোনো এনজাইম বা উৎসেচকের অভাবে দেখা দিতে পারে এই রোগ। অর্থাৎ বংশগত প্রভাব আছে এক্ষেত্রে অনেকটা মায়ের হাইপো-থাইরয়েড থাকলে তা সন্তানেরও হতে পারে। তবে সব ক্ষেত্রেই যে হবে, একথা জোর দিয়ে বলা যায় না।

থাইরয়েডের সমস্যা : কাদের বেশি?

হতে পারে মহিলা ও পুরুষ উভয়েরই। মহিলাদের শরীরে এই রোগ তুলনামূলকভাবে বেশিই হয়। মেয়েদের শরীর হয় সন্তানধারণের উপযোগী। কিশোর বয়স থেকেই তাদের শরীরে চলে ভাঙা-গড়ার খেলা। আমাদের দেশে মহিলারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সুষম খাদ্যাভ্যাস থেকে বঞ্চিত। ফলে মহিলারা এ রোগের শিকার হন বেশি।

Thyroid Symptoms

থাইরয়েডের সমস্যার কারণ

থাইরয়েড গ্রন্থির অসুবিধা সৃষ্টি হতে পারে দু’ভাবে : হয় বেশি ক্ষরণ, নয়তো দায়ী কম ক্ষরণ।

বেশি ক্ষরণের ফল : 

শরীরে মেটাবলিজম বেড়ে যায়। ফলে বেড়ে যায় বিপাকের হার। খিদে হয় অথচ রোগী রোগা হতে থাকে ক্রমাগত। ঘাম বেশি হয়, বুক ধড়ফড় করে, হাত-পা কাঁপতে থাকে, ঘন ঘন পায়খানা পায়, ঋতুস্রাবের পরিমাণ কমে যায়, সন্তান দেরিতে আসে বা অনেক ক্ষেত্রে আসে না। অতিরিক্ত ক্ষরণের ফলে চোখের মণির পিছনের টিস্যুতে প্রভাব পড়ে, মনে হয় চোখ যেন মণি ঠেলে বেরিয়ে আছে। এই অবস্থাকে বলে থাইরো টক্সিকোসিস বা হাইপারথাইরয়েডিজম।

কম ক্ষরণের ফল : 

এর ফলে হয় মিক্সিডিমা । দু’ধরনের এটা—ছোটদের ক্ষেত্রে জুভেনাইল মিক্সিডিমা এবং সাধারণের ক্ষেত্রে মিক্সিডিমা রোগে শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। বৃদ্ধির বিকাশ স্বাভাবিক এবং যথাযথ হয় না মানসিকভাবে দুর্বল, শরীর ঘিরে অলসতা, কোষ্ঠকাঠিনোর বৃদ্ধি, পেট বড় হয়, বাচ্চাদের নাভি উঁচু হয়ে ওঠে। আলস্য আসে, শরীর মোটা হয় মুখ ফুলে যায়, চামড়ায় খসখসে ভাব আসে।

থাইরয়েডজনিত রোগ হতে পারে আয়োডিনের অভাবে। শরীরে আয়োডিনের অভাব হলে থাইরয়েড গ্রন্থি বড় হয়। শিশুদের মধ্যে বেঁটে হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। দৈহিক গঠন ঠিকমতো হয় না। বুদ্ধির বিকাশ ঘটে না। মহিলাদের ক্ষেত্রে সন্তানধারণে অসুবিধা দেখা যায়। বৃদ্ধ বুদ্ধা অথবা  প্রৌঢ়দের ক্ষেত্রে আসে অলসতা। 

অটো ইমিউন ডিসঅর্ডার

আমাদের শরীরের মধ্যে যদি ব্যাকটিরিয়াল প্রোটিন (অ্যান্টিজেন) ঢুকিয়ে দেওয়া হয় (ভাকসিনের মাধ্যমে), তাহলে ওই ব্যাকটরিয়াল প্রোটিনের বিরুদ্ধ-প্রোটিন (অ্যান্টিজেন) শরীরে তৈরি হয়। রোগ-সংক্রমণের মাধ্যমে ব্যাকটিরিয়া যখন প্রবেশ করে আমাদের শরীরে, সেই সময় এন্টিজেন ও অ্যান্টিবডির বিক্রিয়ার ফলে ব্যাকটিরিয়া মারা যায়। এটাই স্বাভাবিক নিয়ম কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে শরীরের নিজস্ব প্রোটিনের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় এবং অ্যান্টিবডির সঙ্গে টিস্যু প্রোটিনের বিক্রিয়ার ফলে টিসু-প্রোটিন ভেঙে যেতে পারে। এটাই অটোইমিউন ডিসঅর্ডার। থাইরয়েড গ্রন্থির কোষগুলির প্রোটিন কিন্তু শরীরের নিজস্ব প্রোটিন। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, বিরুদ্ধ প্রোটিন তৈরি হয়ে থাইরয়েড কোষগুলিকেই ধীরে ধীরে নষ্ট করে দেয়। এই ঘটনা যদি দ্রুত ঘটে, তাহলে গ্ল্যান্ড বড় হয় ও গ্লান্ডে ব্যথা হয়, সঙ্গে জ্বর। এর ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় থাইরয়েড গ্ল্যান্ড আস্তে আস্তে শুকিয়ে যাচ্ছে। এইসময় বিভিন্ন লক্ষণ দেখে রোগ শনাক্ত করা যায়।

কি খাবেন- আর কি খাবেন না 

হাইপোথাইরয়েডের রোগী মোটা হয়ে গেলে তাদের থাইরয়েডের চিকিৎসাও করতে হবে এবং ওজন কমানোর জন্য চর্বিজাতীয় খাবার, বেশি মিষ্টি, ভাজাভুজি না খাওয়া বা কম খাওয়া দরকার। আবার থাইরয়েড গ্রন্থির ক্ষরণ বেশি হলে খুব বেশি গরম হয়, ঘাম হয়, তাই মেটাবলিজম বেড়ে যায়, সেজন্য অবশ্যই পরিমিত স্বাভাবিক খাবার খাওয়া দরকার। সঙ্গে সঙ্গে দরকার থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণ কমানোর চিকিৎসা। যাদের থাইরয়েড গ্রন্থি বড় হয়ে যায় ও কম কাজ করে এবং যারা আয়োডিনের অভাবযুক্ত এলাকায় বাস করেন, তাদের পক্ষে পুঁইশাক, বাঁধাকপি, ঢ্যাঁড়শ, সোয়াবিন নিরাপদ নয়। গয়টার বেড়ে যেতে পারে। যারা নিয়মিত থাইরয়েড হরমোন নেন তাদের অবশ্য কোনো বিধিনিষেধের প্রয়োজন নেই। হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চল এবং তার পাদদেশীয় অঞ্চল, মধ্যভারতের পার্বত্য অঞ্চল, দাক্ষিণাত্যের মালভূমি অঞ্চলের লোকেরা আয়োডিনের অভাবজনিত থাইরয়েড-রোগের শিকার। এজন্য আয়োডিনযুক্ত লবণ খাওয়ার কথা বলা হয়।

সাবধানতা

থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। যদি আয়োডিনের অভাবজনিত কারণে থাইরয়েড দেখা দেয়, তাহলে নিয়মিত ও পরিমিত আয়োডিন মিশ্রিত লবণ ব্যবহার করতে হবে।

থাইরয়েডের বিকল্প চিকিৎসা

বিকল্প পদ্ধতি নয়। কোনো বিকল্প চিকিৎসার দ্বারা থাইরয়েডের সমস্যার সমাধান করা যায় না। তবে বিভিন্ন যোগাভ্যাস রক্তসঞ্চালন বাড়াতে পারে। মূলত থাইরয়েডের চিকিৎসা করেন এডোক্রিনোলজিস্ট তথা হরমোন বিশেষজ্ঞ। আর যোগাভ্যাসের মাধ্যমে সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে, শরীর সুস্থ থাকে।

সতর্কতা : গর্ভবর্তীদের

থাইরয়েডের সমস্যা অবশ্যই মাতৃত্ত্বকে প্রভাবিত করে। তাই গর্ভবতী হওয়ার আগে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জেনে নেওয়া প্রয়োজন এধরনের সমস্যা আছে কি না। থাকলে চিকিৎসা করে তবেই সন্তানধারণ করা উচিত। শুধুমাত্র গর্ভাবস্থায় নয়, থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে ব্যাহত হতে পারে স্বাভাবিক যৌনজীবন। যৌন-আগ্রহ কমে যাওয়ার সম্ভাবণা থাকে। মহিলাদের ডিম্বাণু ও পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রাণু তৈরিতে অসুবিধা দেখা দেয়। অনেক সময় ভ্রূণ তৈরি হয় না, হলেও নষ্ট হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে। সন্তান হলেও অনেক ক্ষেত্রে অসুস্থ হতে পারে। তবে সুচিকিৎসার মাধ্যমে সতর্কতা অবলম্বন করলে বাচ্চা নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না।

থাইরয়েডের অসুখ কি চিরস্থায়ী?

যাদের হাইপোথাইরয়েডিজম ধরা পড়ে, সাধারণত তাদের সারাজীবন থাইরয়েড হরমোন বাইরে থেকে যোগান দেওয়া দরকার। নিয়মিত ও পরিমিত পরিমাণে। থাইরো টক্সিকোসিসের বেলায় অনেক সময় অপারেশন করে অথবা থাইরয়েড কোষগুলিকে রেডিও অ্যাকটিভ আয়োডিনের মাধ্যমে নষ্ট করে রোগ নিরাময় করা যেতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরবর্তীকালে হাইপো থাইরয়েডের রোগী হয়ে থাকতে হয়। অবশিষ্ট জীবন থাইরয়েড হরমোনের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকতে হয়।

থাইরয়েডের আধুনিক চিকিৎসা

থাইরয়েডের সর্বজনবিদিত আধুনিক চিকিৎসা হল হরমোনথেরাপি। থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণের জন্য সিন্থেটিক থাইরয়েড অর্থাৎ এল্-থাইরক্সিন চব্বিশ ঘণ্টায় একবার খেলেই হয়, সাধারণত সকালে খাওয়ার আগে অথবা পরে। তবে অনেক সময় গ্ল্যান্ড বড় হয়ে বেশি ক্ষরণ হতে থাকলে রেডিও অ্যাকটিভ আয়োডিন দিয়ে তাকে বশে আনা হয়। থাইরয়েড গ্ল্যান্ডে ক্যানসারও হতে পারে। তবে অন্যান্য ক্যানসারের সঙ্গে তফাত থাইরয়েডের ক্যানসার অনেক ক্ষেত্রে রেডিও অ্যাক্টিভ আয়োডিন প্রয়োগ করে সম্পূর্ণ নিরাময় করা যায়। তবে পরবর্তী জীবন থাইরয়েড হরমোন নিয়মিত ব্যবহার করে যেতে হবে।

থাইরয়েড সমস্যায় চিকিৎসকের ওপর নির্ভর করাই বুদ্ধিমানের কাজ। নিজে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে পুরো ব্যাপারটাই কোনো অভিজ্ঞ চিকিৎসকের হাতে ছেড়ে দেওয়াই ভালো। ওষুধ ছাড়া অন্য কিছু এক্ষেত্রে বিশেষ কাজে আসে না। সব বয়সের মানুষ নিশ্চিতভাবে হরমোনথেরাপি করতে পারেন। এতে অন্য কোনো হরমোনের ওপর প্রভাব পড়ে না। আর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রায় নেই বললেই চলে। তবে সব জিনিস সবার ক্ষেত্রে একই রকমভাবে প্রয়োগ করা যায় না। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

থাইরয়েড সমস্যায় ডায়েট

থাইরয়েডের গণ্ডগোল থাকলে খাওয়া-দাওয়া, স্বাভাবিক জীবনযাপন সাধরণত ব্যাহত হয় না। খাদ্যের মধ্যে আয়োডিন যথাযথ মাত্রায় থাকা উচিত। আমাদের দেশে শতকরা ৭৫ ভাগ মানুষ যেখানে আয়োডিনের অভাবজনিত অসুখের শিকার, সেখানে প্রত্যেকের আয়োডিন-মিশিত লবণ ব্যবহার করাই উচিত। যাদের আয়োডিনের অভাব নেই, তারাও যদি আয়োডিন-মিশ্রিত লবণ গ্রহণ করেন, তাতে কোনো বিপদের সম্ভাবনা নেই অতিরিক্ত আয়োডিন মূত্রগ্রন্থি মূত্রের মাধ্যমে বের করে দেবে।

প্রশ্ন হল, কতটা পরিমাণ আয়োডিন খাদ্যতালিকায় থাকবে অথবা বুঝব কী করে প্যাক করা লবণ সঠিক মাত্রায় আয়োডিন যোগাচ্ছে?

সচেতনতা ও পরামর্শ

আজকের পৃথিবী অনেক বেশি প্রগতিশীল, সমাজ অনেকটাই সচেতন। যে কোনো বিষয়ে সচেতনতা বাড়ছে। সঙ্গে বেরিয়েছে বিকল্প রাস্তা। এসেছে বিজ্ঞানের কল্যাণে নতুন আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি। সুন্দর প্যাক করা লবণ নয়, বিচার্য হবে আয়োডিনের পরিমাণ নুনের প্যাকেটে কতটা আছে আর হ্যাঁ, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চললে থাইরয়েড আপনার আয়ত্তেরই মধ্যে থাকবে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version