কথায় বলে না খেয়ে মরে না কেউ, খেয়েই মানুষ মরে। তবুও মানুষ খায়। তবুও মানুষ মরে। আসলে খাওয়ার ব্যাপারে আর পাঁচটার মতো নিয়ম-নীতি আছে। বিশেষ করে রোগবালাই থাকলে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই লেখা—কোন অসুখে কে কী খাবেন না।
Table of Contents
গ্যাস
দুধ, ভাজাভুজি, ফাস্ট ফুড, রেড মিট, চিকেন, বিরিয়ানি, আলু, টম্যাটো, বাঁধাকপি, শশা, আটার রুটি, চুইংগাম, মধু, বিনস, কোল্ডড্রিঙ্কস, বরবটি, ধূমপান, মদ্যপান।
ডায়াবেটিস
চিনি, গুড়, মধু, রসগোল্লা, সাবু, বার্লি, অ্যারারুট, ভাজাভুজি, মিষ্টিফল, ফলের রস, কেক, বিস্কুট, পেস্ট্রি, নোনতা খাবার, জ্যাম, জেলি, মাখন, রঙিন খাবার, সস, টিনজাত দ্রব্য, ওল, কচু, আলু, অ্যালকোহল, অতিরিক্ত ভাত বা রুটি।
হাঁপানি
ডিম, চিংড়ি, বেগুন, তেল-মশলা দেওয়া খাবার, ভাজাভুজি, ফ্রিজের ঠান্ডা জল বা খাবার, কোল্ড ড্রিঙ্কস, কুল, তেঁতুল, সুগন্ধী সুপারি, ব্যথা কমাবার বড়ি, রাতে ভরপেট খাবার।
ক্যানসার
ফ্যাট বা চর্বি জাতীয় খাবার, রেডমিট, সয়াবিন, চিনি, গুড়, ভাজাভুজি, আচার, প্রসেসড ফুড, বাদাম, রেডমিট, রেপসিড তেল, মিষ্টি।
হাইপারথাইরয়েড
কফি, কোল্ডড্রিঙ্কস, টফি, চকলেট, আয়োডিনযুক্ত লবণ, সামুদ্রিক মাছ।
সর্দি-কাশি
দই, আখের রস, আইসক্রিম, ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার বা ঠান্ডা জল, কোল্ডড্রিঙ্কস।
চিকেন পক্স
চর্বি জাতীয় খাবার, ভাজাভুজি, কেক, পেস্ট্রি, প্রসেসড ফুড, চকলেট, কিসমিস, রেডমিট, গরম মশলা, অতিরিক্ত নুন, লেবু বা টক জাতীয় খাবার, ব্রয়লার।
কিডনি স্টোন
বিন, টম্যাটো, মটরশুটি, পালংশাক, কচু, ঢ্যাড়শ, বেগুন, শশা, কাজু, স্ট্রবেরি, চকলেট, রেডমিট, সামুদ্রিক মাছ, সবেদা, লবণ, চা-কফি- মদ, কোল্ডড্রিঙ্কস।
গলব্লাডারের স্টোন
দুধ, ভাজাভুজি, ডিমভাজা, ডিমের কুসুম, রেডমিট, অতিরিক্ত তেল-মশলাদার খাবার, ঘি, মাখন, বনস্পতি, কেক, পেস্ট্রি, চকলেট, চানাচুর, প্রসেসড ফুড, টিনজাত ফুড, কোল্ডড্রিঙ্কস, চর্বি জাতীয় যেকোনো খাবার।
সিরোসিস অব লিভার
ডিমের হলুদ অংশ, মাংস, অ্যালকোহল, গোটা ডাল, ভাজা খাবার, ওটস, বেকিংসোডা, অতিরিক্ত নুন, মাশরুম, নোনতা খাবার, আচার, পাঁপড়, ধূমপান, চা, কফি।
ক্রনিক কিডনি ডিজিজ
অতিরিক্ত জল, অতিরিক্ত নুন, চানাচুর, চিপস, পাঁপড়, আচার, ডাবের জল, নারকেল, কিসমিস, কলা, ব্যথার ওষুধ, রেডমিট, প্রসেসড ফুড, জাঙ্ক ফুড।
হায়াটাস হার্নিয়া
আমলকী, পেয়ারা, বাতাবিলেবু, মুসম্বি, কমলালেবু, পাতিলেবু, ফলের রস, ভাজাভুজি, ফাস্ট ফুড, জাঙ্কফুড, জ্যাম, জেলি, আচার, পাঁপড়, চিপস, টম্যাটো বা টম্যাটো সস, কফি, চা, চকলেট, কোল্ডড্রিঙ্কস, মিষ্টি দই, মিষ্টি, আইসক্রিম, গরুর দুধ, পাউরুটি, বার্গার, পিৎজা, ঘি, মাখন, রেডমিট, ইডলি-ধোসা।
উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপ্রেসার
ঘি, মাখন, মার্জারিন, রেডমিট, অ্যালকোহল, অতিরিক্ত নুন, চিংড়িমাছ, আচার, পাউরুটি, বিস্কুট, সস, ইলিশমাছ, আড়মাছ, অতিরিক্ত ডিম।
কোলেস্টেরল
ঘি, মাখন, রেডমিট, মার্জারিন, ডিমের হলুদ অংশ, মেটে, ধুমপান, জর্দা, পানমশলা।
অ্যালার্জি
বেগুন, চিংড়ি, কলা, ডিম, দুধ, পেঁপে, নারকেল, টম্যাটো, ডাল, বাদাম, ইলিশ, সজনে, জ্যাম, জেলি, আইসক্রিম, মুরগি, পাঁঠার মাংস।
আলসার
ঝাল, মশলাদার খাবার, ভাজাভুজি, লঙ্কা, ধূমপান, মদ্যপান, চা, কফি, সোডা, কোল্ডড্রিঙ্কস, ঘি, মাখন, অতিরিক্ত তেল, রেডমিট।
স্থূলতা
ঘি, মাখন, চিনি, মিষ্টি, ভাজাভুজি, মাটন, বিফ, ডিমের কুসুম, চিজ, দুধ, সস, চানাচুর, ফাস্টফুড, আইসক্রিম, কোল্ডড্রিঙ্কস, মদ।
থ্যালাসেমিয়া
পাঁঠার মাংস, মুরগির মাংস, মেটে, পালং শাক, আয়রনযুক্ত খাবার, ব্রাউন ব্রেড, ঢেঁকিছাটা চাল, ফাস্ট ফুড, সামুদ্রিক মাছ, গুগলি, কমলালেবু।
প্রি-মেন্সট্রুয়াল সিনড্রোম
ফ্যাটি খাবার, ক্যাডবেরি, কোল্ডড্রিঙ্কস, আইসক্রিম, নুন, চিনি, চা, কফি, অ্যালকোহল, তেল, ঘি, সস, কাসুন্দি, আচার, মিষ্টি।
ইউরিক অ্যাসিড
মটরশুঁটি, রাজমা, বিনস, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালংশাক, মাশরুম, মাংস, মেটে, সামুদ্রিক মাছ, বিয়ার, কফি, ডিম, চিংড়ি, টম্যাটো, শিম, ঢেঁড়স, পুঁইশাক, অ্যালকোহল।
হার্ট অ্যাটাক
রেড মিট অর্থাৎ পাঁঠা বা গরুর মাংস, মেটে, ঘি, বনস্পতি, মাখন, নারকেল তেল, পাম অয়েল, আইসক্রিম, গরুর দুধ বা মোষের দুধ, ডিমের কুসুম, মদ, মিষ্টি, চিনি, ফার্স্ট ফুড, ধূমপান, ভাজাভুজি, নুন, কোল্ডফিস, চিজ, প্যাটিস।
ভাইরাল হেপাটাইটিস
ডাল বা বিন জাতীয় খাবার, রেডমিট, ডিম, ভাজাভুজি, শুকনো ফল, বাদাম, তেল-মশলাদার খাবার, পাঁপড়, আচার, চা, কফি, মদ।
সিলিয়াক ডিজিজ
আটা, রুটি, বিস্কুট, পাউরুটি, নুডলস, পেস্ট্রি, আইসক্রিম, সস, কফি, ইয়োগার্ট, ক্যাডবেরি, দুখ, অ্যালকোহল।
অ্যাসিডিটি
চর্বি জাতীয় খাবার, ভাজাভুজি, তেল- মশলাদার খাবার, বাসি খাবার, ফাস্ট, ধূমপান, মদ্যপান, মিষ্টি, কফি, দুধ, টক জাতীয় খাবার, কোল্ড ড্রিঙ্কস, শুকনো লঙ্কা, অ্যালকোহল, গোলমরিচ, খুব ঠান্ডা বা খুব গরম খাবার।
কোষ্ঠকাঠিন্য
ভাজা বা তেল-মশলাদার খাবার, রেডমিট, ঘি, মাখন, অতিরিক্ত চা, কফি, ধূমপান, মদ্যপান, চর্বি জাতীয় খাবার, ফাস্টফুড।
আমাশা
অতিরিক্ত শাকসবজি, রুটি, বাইরের খাবার, তেল-মশলাদার খাবার, ভাজাভুজি, ফ্যাটি খাবার, কাটা ফল বা সবজি।
ফ্যাটি লিভার
ভাজা, তেল-মশলাদার খাবার, চকলেট, আইসক্রিম, মাংস, বিরিয়ানি, অতিরিক্ত তেল, ঘি, মাখন, মদ, ব্যথার ওষুধ।
কিডনির অসুখ
অতিরিক্ত মাছ, মাংস, ডাল, দুধ, ঘি, মাখন, ডালডা, নুন, চিপস, সলটেড বাদাম, প্রসেসড ফুড, টিনজাত খাদ্য, টম্যাটো, শাক, আলু, শিম, বিনস, যেকোনো ফলের রস।
পি.সি.ও.এস ( Polycystic Ovary Syndrome)
ফাস্টফুড, তেলজাতীয় খাবার, ফ্যাটি খাবার, ডিমের কুসুম, রেডমিট।
স্ট্রোক
নুন জাতীয় খাদ্য, মদ্যপান, চর্বিজাতীয় খাবার, দুধ, ঘি, মাখন।
জনডিস
ঘি, মাখন, চর্বিজাতীয় খাবার, মাছের মাথা, বাইরের খাবার, তৈলাক্ত মাছ, খাসির মাংস, ভাজাভুজি, ফাস্টফুড, আচার, বাদাম, পেস্ট্রি, হিং, ক্যাপসিকাম, মুলো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকোলি, দুধ চা, কফি, রসুন, পেঁয়াজ।
বন্ধ্যাত্ব
কফি, অতিরিক্ত নুন, আলু, চিপস্, সুগন্ধী ও রঙিন খাবার, অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার।
অপারেশনের পর (প্রথম দু’সপ্তাহ)
দুধ, চা, কফি, মিষ্টি দই, চিনি, মাছের মাথা, সামুদ্রিক মাছ, স্যালাড, চিচিংগে, বেগুন, ঝিঙে, পটল, লাউ, থোড়, মোচা, কচু, যেকোনো ধরনের শাক, ডাল, আলু, কড়াইশুঁটি, বিনস, শিম, টম্যাটো, সজনে ডাঁটা, মাছ, মাংস।
লস অব লিবিডো
পনির, পুদিনা, কফি, সোয়াবিন, কর্নফ্লেক্স।