Home পারম্পরিক ঔষধি Tumor Treatment: টিউমারের বাড়াবাড়ি, ঠান্ডা করবে হোমিওপ্যাথি

Tumor Treatment: টিউমারের বাড়াবাড়ি, ঠান্ডা করবে হোমিওপ্যাথি

শরীরের কোনো জায়গায় স্ফীতি দেখা গেলে, তাকে টিউমার বলে। টিউমার সাধারণত দু’ধরনের হয়—বিনাইন এবং ম্যালিগন্যান্ট। বিনাইন অর্থ নন-ক্যানসারাস এবং ম্যালিগন্যান্ট মানে ক্যানসারাস। 

আমাদের শরীরে কম্পিউটারের মতো জেনেটিক এবং ইমিউনোজেনেটিক প্রোগ্রামিং করা আছে। সেটাই হল আসল স্কেলিটন, যে কিনা আমাদের শরীরের সব কাজগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে। জিন এক্সপ্রেশন করে প্রোটিন তৈরি করে। প্রোটিন দু’ধরনের হয়, ফাংশনাল – যেমন ব্লাড, স্যালাইভা ইত্যাদি আর স্ট্রাকচারাল—যেমন হাড়, মাসলস, মিনারেলস নিয়ে গঠিত। এই দুই প্রোটিনের মধ্যে একটা ব্যালেন্স থাকে। এই ব্যালেন্সের ওপরই নির্ভর করে সেগুলোর গ্রোথ।

শরীরে যেখানে দরকার নেই সেখানে কোনো কারণ ছাড়াই কোষের সৃষ্টি মানে ঝামেলা। কিন্তু যদি দেখা যায় কোষ কিছুটা তৈরি হওয়ার পর তার গ্রোথটা হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেল, সেক্ষেত্রে ভয়ের কিছু নেই। কারণ সেই জমে যাওয়া কোষ শরীরের কোনো ক্ষতি করে না। এই ধরনের স্ফীতিকে বিনাইন টিউমার বলে। কিন্তু যদি দেখা যায় কোষ বিভাজন বন্ধ হল না এবং সেই স্ফীতিযুক্ত গ্রোথ-এ প্রদাহ কিংবা ঘা হল তখন তাকে নিয়ে ভাবনাচিন্তার প্রয়োজন আছে। এই ধরনের প্রদাহ ম্যালিগন্যান্ট হতে পারে।

একটা উদাহরণ দিয়ে বোঝালে বিষয়টা স্পষ্ট হবে। যেমন ধরা যাক একটা পুকুর যেখানে এক হাজার মাছ থাকার কথা কিন্তু সেখানে যদি দশ হাজার কি বিশ হাজার মাছ তৈরি হয় তাহলে কখনোই সুস্থ পরিবেশ থাকবে না। পরিবেশ দূষিত হবে, নানাধরনের পচন জনিত সমস্যা পুকুরের সিস্টেমটাকে নষ্ট করে দেবে। শরীরেও একটা পরিমাপ থাকে, কোথায় কত কোষ থাকবে। কিন্তু যখন এই পরিমাপে গন্ডগোল হয় তখন দেখা যায় প্রচুর কোষ বিভাজন হয়ে একটা স্ফীতির অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। অনেক বেশি প্রোটিন প্রকাশ পেতে থাকে ফলে পুরো অবস্থাটি খারাপ হয়ে যায়। ঘা বা ফেটে যাওয়ার অবস্থা তৈরি হয়। মডার্ন মেডিসিনে কেমোথেরাপির দ্বারা অতিরিক্ত সেলগুলোকে মারার চেষ্টা করা হয়, যাতে ঘাঁ-টা সেরে ওঠে। এছাড়া রেডিওথেরাপি করে জায়গাটাকে পুড়িয়ে দেওয়া হয় কিংবা সার্জারি করে ক্ষত জায়গাটাকে বাদ দেবার চেষ্টা করা হয়।

toumer

বর্তমানে মডার্ন মেডিসিন বা আধুনিক ওষুধপত্র, বায়োলজিক্যাল থেরাপি ও ইমিউনো থেরাপির সাহায্য নিয়ে চিকিৎসা করা হয়। 

ইমিউনো থেরাপিবায়োলজিক্যাল থেরাপির সাথে হোমিওপ্যাথি ফিলোজফির কনসেপ্ট যথেষ্ট সামঞ্জস্যপূর্ণ। হোমিওপ্যাথি বলছে প্রকৃতির মধ্যেই নিরাময়ের ক্ষমতাটা আছে যেটাকে বর্তমান মডার্ন সায়েন্স মেনে নিচ্ছে। প্রকৃতির এই ক্ষমতাটাকেই কাজে লাগিয়ে স্ফীত হওয়া কোষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে যুদ্ধে জিততে হবে। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ টার্গেটকে লক্ষ্য করে তার কাজ করে।

শুধু কেটে ফেলে, পুড়িয়ে দিয়ে কিছু করা সম্ভব নয়। অত্যন্ত সূক্ষ্ম মাত্রায় হোমিওপ্যাথিক ওষুধ, সে নাক্সভমিকা কিংবা সালফার বা ক্যালকেরিয়া কার্ব হোক, জলের মধ্যে দিয়ে শরীরে পৌঁছে যাচ্ছে।

যদি আপনি কখনও লক্ষ করেন তাহলে দেখবেন জলের অনেক তলায় সাবমেরিন থাকলে সেখানে নর্মাল রেডিও ওয়েভে পৌঁছনো যায় না। এক্ষেত্রে লো ফ্রিকোয়েন্সি রেডিও ওয়েভ যেগুলো লম্বায় এক মাইল বা দু’মাইল হয় বা তার থেকেও বেশি হয় সেই লো ফ্রিকোয়েন্সি রেডিও ওয়েভ দিয়ে সাবমেরিনের সাথে কনট্যাক্ট করা যায়।

সেই রকমই হোমিওপ্যাথিক ওষুধ জিভের মধ্যে দিয়ে সেরিব্রাল কর্টেক্সে পৌঁছয় এবং সেখান থেকে টারগেটেড সাইটে। হোমিওপ্যাথিক ড্রাগ কখনও রোগটাকে চেপে দেবে না বরং সে চেষ্টা করে জেনেটিক ইনফর্মেশনকে কারেক্ট করে দিতে। সেই কারেকশন হবার পর পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে সমস্ত অস্বাভাবিক কোষ আছে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেগুলোকেই ট্রিগার করে। শুধু কোষগুলোকে মেরে ফেলা নয়, ওর পরিবেশের জন্য যে সাইটোকাইনস রয়েছে তার চারপাশে, কোষের এক থেকে দুই হওয়া, তারও পরিবর্তন হয়। CD4-CD8 ইমিউনোলজির মধ্যে দিয়ে আমাদের যে স্ট্রাকচার মেনটেন হয় হোমিওপ্যাথিক ড্রাগ সেই অলটার CD4-CD8- কে সঠিক করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। যার ফলে এমন একটা জায়গায় রোগটাকে নিয়ে যায় যেখানে শরীরটা যুদ্ধ জয় করার মতো করে ক্ষেত্রকে একদম প্রস্তুত করে দেয়। তার ফলে একটা মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সুস্থ থাকে। ক্যানসারকে পুরোপুরি ভালো করতে না পারলেও ক্যানসার গ্রোথকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রেখে দেয়।

যারা আগে কেমোথেরাপি কিংবা সার্জারি করেছেন কিংবা সার্জারির পর কেমোথেরাপি নিতে পারছেন না এমন মানুষকে হোমিওপ্যাথিক ড্রাগ অবশ্যই সাহায্য করে।

ভবিষ্যতে যাদের ক্যানসারের সম্ভাবনা আছে বা যাদের বাড়িতে ক্যানসার রয়েছে কিংবা যাদের বহুদিন ধরে বিনাইন টিউমার গ্রোথ লক্ষ করা যাচ্ছে সেখানেও হোমিওপ্যাথিক ড্রাগ ভালো কাজ করে।

বিনাইন ফাইব্রয়েড ইউটেরাসের ক্ষেত্রেই হোক বা ফাইব্রো অ্যাডিনোমার ক্ষেত্রেই হোক কিংবা ম্যালিগন্যান্ট সারকোমার ক্ষেত্রেই হোক হোমিওপ্যাথি একটা বড় ভূমিকা নেয় রোগটিকে সারিয়ে তুলতে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version